হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার এক স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, চাহিবামাএ ফেরৎ দেওয়ার অঙ্গীকার করে টাকা নিয়েও আত্মসাত করার জন্য করছেন নানা চলচাতুরী। মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের দুর্গাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রুনা আক্তার! রুনা তার নিজ উপজেলা মাধবপুর শাখার জনতা ব্যাংকের দুটি চেকের পাতায় সাক্ষর করেও অস্বীকার করছেন তিনি।
এবং পাওনাদারকে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের অনুকূলে রাখতে প্রলোভনের কমতি নেই ওই শিক্ষিকার। রুনার প্রতারনা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললেই ঠুকে দেন মামলা। তার অভিযোগ থেকে রক্ষা পায়নি সাংবাদিক, পুলিশ এমনকি সুশীল সমাজের লোকও। স্কুলে শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত, অনুমতি ব্যতিত বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের গাছ কর্তনসহ অনিয়মের জন্য চাকুরী জীবনে একাধিক বার ওই শিক্ষিকাকে শোকজ করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায় । হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিলকৃত সি আর ৩৭৮/২২ নং মামলা সূত্রে জানা গেছে ধর্মঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আবুল বাশারে পুত্র মোঃ আবু মুছা’র কাছ থেকে শিক্ষিকা রুনা আক্তার বিগত ২০২১ সালের ৬”আগষ্ট নিজ ব্যাংক একাউন্টসের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা নেন। এর বিপরীতে ১০২১৮০৬৭৮৬ নং চেক প্রদান করেন। পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারী ওই শিক্ষিকা মুছার পরিবারের কাছ থেকে আরো ১২ লাখ টাকা নেন। যার বিপরীতে নিজ স্বাক্ষরীত আরেকটি চেক প্রধান করেন।পরিশোধের নিমিত্তে নেওয়া ২২ লাখ টাকা না দেওয়ার জন্য গড়িমশি শুরু করেন ওই শিক্ষিকা রুনা আক্তার। পাওনাদার আবু মুছা চেক দুটি ব্যাংক একাউন্টেসে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃক ডিজঅনার হয়। চেক ডিজঅনার মামলা দায়েরের ২৯ দিন পর রুনা আক্তার চেক বই চুরির অভিযোগ এনে পাওনাদার আবু মুছা ও সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে সিআর ৪৬৩/২২ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি স্থানীয় সাক্ষীদের সাক্ষ্য তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তদন্ত রিপোর্ট নিজের অনুকূলে না দেওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিভিন্ন মহলে প্রচার প্রসার করছেন তিনি। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ গুলো তদন্তাধীন রয়েছে।৩৭৮/২২ এর মামলাটি আদালত পুলিশ ব্যাুরু অফ ইনভেস্টিগেশন ( পিবিআই) এর প্রতিবেদন এর ভিত্তিতে গত ২৪/১২/২০২৪ তারিখে রুনা আক্তার এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এবং রুনা আক্তার ২৬/১২/২০২৪ ইং তারিখে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত শর্ত সাপেক্ষে তার জামিন মঞ্জুর করে।
এ বিষয়ে মাধবপুর শিক্ষা কর্মকর্তা’র সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান অতি শীঘ্রই আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।