স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশে রূপানত্মরিত হওয়ার ঘোষণা দেয়ায় গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৭ ও ২৮ মার্চ দু’দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জেলা কালেক্টরেট সম্মেলন কড়্গে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন এক প্রেস ব্রিফিং করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপসি’ত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদেকুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাফিউল আলম।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক তাঁর লিখিত বক্তব্যে উলেস্নখ করেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চুড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়নত্মীতে গৌরবোজ্জ্বল এমন একটি অর্জন সারাবিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছে যা সমগ্র জাতির জন্য অত্যনত্ম আনন্দের ও গর্বের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অর্জন দেশের নতুন প্রজন্মকে উৎসর্গ করেছেন। সমগ্র বাংলাদেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ‘স্বাধীনতার সূবর্ণজয়নত্মী: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ’ উদযাপনের কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘বাংলাদেশের এক অনন্য অর্জন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসন গাইবান্ধার এর প্রত্যড়্গ তত্ত্বাবধানে ২৭ ও ২৮ মার্চ স্থানীয় স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে দু’দিনব্যাপী কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে। জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি’ত থাকবেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি’ত থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. খলিলুর রহমান।
দু’দিনের এসব কর্মসূচিতে জেলার সকল সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। মেলায় ৫৫টি স্টল স্থান পাবে। কর্মসূচির প্রথম দিনে ২৭ মার্চ র্যালি, শুভ উদ্বোধন, আলোচনা সভা, উন্নয়ন বিষয়ক ভিডিও প্রদর্শনী ও রিয়েলিটি শো, স্টল পরিদর্শন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বর্ণাঢ্য আতশবাজি। এছাড়াও ২৮ মার্চের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ‘রূপকল্প ২০৪১ : উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার, শিড়্গার্থী ও তরুণদের জন্য উন্নয়ন বিষয়ক কুইজ ও উপস্থি’ত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।