তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের নমনীয়তাকে দুর্বলতা ভাববেন না। যারা দেশে বিশৃঙ্খলা করছেন তাদের মূল উৎঘাটনে আমরা বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, যারা এখন বিশৃঙ্খলা করছে তারা ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও বিশৃঙ্খলা করেছিল। তারা একই গোষ্ঠী এবং তাদের সাথে ছিল বিএনপি। আমরা জানি আপনারা কারা? বাইতুল মোকাররমে, পবিত্র কুরআনে আগুন জ্বালিয়েছিলেন। এই সময় পশু-পাখিও আপনাদের হাতে রেহাই পায়নি।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমণের সঙ্গে রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দেওয়ার কি সম্পর্ক? ভূমি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হলো কেন? এরা সবাই দুঃস্কৃতিকারী, শান্তি ও সম্প্রীতির শত্রু। এদের যদি খোঁজ খবর নেই, তবে দেখা যাবে এদের বাবা-দাদারা সব রাজাকার ছিল। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিলো। তাদের বাবা-দাদারা নারী নির্যাতন ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমণ নিয়ে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তিনি কোনো দলের নেতা হিসেবে বাংলাদেশে আসেননি। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তীতে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানাতে বাংলাদেশে এসেছে।
তিনি বলেন, যে ভারত ১৯৭১ সালে এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে রক্ত ঝরিয়েছে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানা যায় না। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সমগ্র পৃথিবীতে চষে বেড়িয়েছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য। সেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশে এসেছেন। অথচ তার আগমণ নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা থেকে বেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই রাষ্ট্র ব্যবস্থার রচনা করেছি। যারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল তারা আজকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার ওপর আঘাত হেনেছে।
‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ এর প্রধান সমন্বয়ক এ এস এম শামছুল আরিফিনসহ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের সদস্য সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, সংসদ সদস্য পংকজ নাথ, সিস্টার নিবেদিতা, সত্যম রায় চৌধুরী, ড. রাধা তমাল গোস্বামী, শংকর মন্ডল, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং সুভাষ সিংহ রায় প্রমুখ।