নরেন্দ্র মোদী চলে যাবার পরপরই সরকার একশনে যাবে। এবার সরকারের একশন হবে অত্যন্ত কঠোর। আর কোন ছাড় নয়, কোন আপোষ সমঝোতা নয় এই নীতিতে মৌলবাদী এবং ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন ‘কিছুক্ষণের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লী চলে যাবেন। তার সফর নির্বিঘ্নে করাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। নরেন্দ্র মোদী চলে যাবার পর আমরা দুর্বৃত্ত, নাশকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’ তিনি বলেছেন ‘যারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিরোধিতা করেছে তারা আসলে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। এদের সাথে কোন আপোষ নয়।’
সরকারী সূত্রগুলো বলছে, সরকার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি চায়নি। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে হেফাজতের সংগে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সরকারী সূত্র গুলো বলছে, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিদের হেফাজতের নেতরা আশ্বস্ত করেছিলেন যে, মোদীর সফরে তারা উত্তেজনা ছড়াবেন না। কিন্তু হেফাজত কথা রাখেনি।
সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, তাদের কাছে এরকম পর্যাপ্ত তথ্য আছে যে, সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই হেফাজত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। হেফাজতের মূল লক্ষ্য ছিলো, বাংলাদেশে মৌলবাদী গোষ্ঠী যথেষ্ট শক্তিশালী, এটি প্রমাণ করা।
কাল (শুক্রবার) যা হয়েছে, তা সব কিছুই সরকার পর্যবেক্ষণ করেছে এবং পর্যালোচনা করছে। আগামীকাল (রোববার) থেকে সরকারের কঠোর অবস্থান দৃশ্যমান হবে বলেও জানা গেছে।
সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী বলেছেন ‘ হেফাজতকে আর রাস্তায় নামতে দেয়া হবে না।’ তিনি বলেছেন ‘মোদীর সফরের সময় যে সব ঘটনা ঘটেছে, তার নেপথ্যে যারাই আছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ আবারও হেফাজতের সাথে সরকার কোন সমঝোতায় যাবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে ঐ মন্ত্রী বলেছেন ‘প্রশ্নই আসে না। হেফাজত বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে।’
সরকারী সূত্র গুলো বলছে, আগামীকাল হরতাল থেকেই সরকারের একশন দৃশ্যমান হবে।