বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘সদস্য দেশগুলোর কল্যাণে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে কমনওয়েলথ বৈশ্বিক প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে কমনওয়েলথকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বায়নের যুগে মানবজাতি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। কোভিড-১৯ পরবর্তী নিওনরমাল পরিস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলা, নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তা, লিঙ্গসমতা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমনওয়েলথকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সাথে নিয়ে অভিনব ধারণা ও কৌশল অবলম্বন করতে হবে। যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তাদের দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে। এজন্য সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।’
রবিবার রাতে ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশন, ইয়ুথ পলিসি ও ডেইলি স্টারের উদ্যোগে ‘রিডিসকভারিং কমনওয়েলথ ফর ডেলিভারিং এ কমন ফিউচার’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান প্যানেলিস্ট হিসেবে ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন স্পিকার।
স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথের সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৭৫ এর মে মাসে জ্যামাইকার কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশগুলোর মাঝে অর্থনৈতিক অসমতা নিরসনে পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ নীতি নির্ধারণে গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তারই সূত্র ধরে বৈষম্য নিরসনে কমনওয়েলথ কাজ করে যাচ্ছে। সদস্য দেশগুলোর শক্তিকে এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে।’
ওয়েবিনারে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, অধ্যাপক সালিমুল হক, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন।