দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছানোয় সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনার পর জরুরি বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে অনির্ধারিত বৈঠকে হয়। এ বৈঠকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভোট নিয়ে আলোচনা হয়।
এ বিষয়ে জানতে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘৩১ মার্চের কয়েকটি নির্বাচন রয়েছে; এ নির্বাচনগুলো হবে। তবে ১১ এপ্রিল ইউপি, পৌর ও সংসদের উপনির্বাচন রয়েছে। এ বিষয়ে অনির্ধারিত বৈঠকে আলোচনা হলেও ১ এপ্রিল কমিশন সভার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
প্রথম ধাপে ১৯ জেলার ৬৪ উপজেলার ৩৭১ ইউপি, ষষ্ঠ ধাপের ১১ পৌরসভা ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থীরা এখন প্রচারে রয়েছেন।
আজ সোমবার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সকল ক্ষেত্রে সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণের এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকবে। বিয়ে/জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
সার্বিক পরিস্থিতিতে ভোট পেছানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, “১৮ দফা নির্দেশনার পর কমিশন আজ অনির্ধারিত আলোচনায় কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবারের কয়েকটি নির্বাচন রয়েছে তা হবেই। কিন্তু ১১ এপ্রিলের বিষয়ে বৃহস্পতিবারের আনুষ্ঠানিক কমিশন বৈঠক রয়েছে; সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে এরপর তা জানানো হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর গেল বছর সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পরবর্তী ৯০ দিনে করেছে ইসি। স্থানীয় সরকারের ভোট স্থগিত রেখেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নভেম্বর থেকে স্থানীয় সরকারের ভোট শুরু করে। মহামারীর এক বছর পার করতেই ফের সংক্রমণ বাড়ায় নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।