এই ফোনালাপটি সামনে নিয়ে এসেছে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। ফোনালাপটি জান্নাত আরা ঝর্নার সঙ্গে তার ছেলে আব্দুর রহমানের। ছেলের বয়স ১৭।
জানা গেছে, ৯ বছর বয়সে ঝর্নার সঙ্গে হাফেজ শহীদুল ইসলামের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে আড়াই বছর আগে তাদের ডিভোর্স হয়। শহীদুল্লাহ ও ঝর্না দম্পতির আব্দুর রহমান ও তামীম নামে দুই ছেলে আছে।
মায়ের সঙ্গে ফোনালাপে আব্দুর রহমান জানায়, সে তার সঙ্গে দেখা করতে যাবে। উত্তরে ঝর্না বলেন, আমার সঙ্গে আপাতত দেখা করতে আইসো না। দেখা করতে আরো লেইট (দেরি) হবে।
তখন আব্দুর রহমান বলে, সেই বোঝাপড়া আমরা দু’ভাই করে আসবানে! কোন সময় দেখা করতে হয়, কোন সময় কি করতে হয়! এরপরই ঝর্না বলে ওঠেন, এখন ঝামেলা দিও না। বহুত ঝামেলার মধ্যে আছি। আর ঝামেলা করিও না।
আব্দুর রহমান বলে, তার (শহীদুল ইসলাম) জন্য দরদ দেখিও না। সে কিন্তু প্রচণ্ড পরিমাণে মাইর খাবে খুলনা থেকে আসলে। সে কিন্তু জানে না আমরা দুই ভাই। এই কথা শোনার পর ঝর্না বলেন, শুন আজকে আমি মৃত্যুর হাত থেকে বের হলাম। সত্য গোপন থাকে না। আম্মু খারাপ করছে, আরেকজন খারাপ করছে বুঝলাম। কিন্তু তুমি তো ভালো করবা।
এই সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। আব্দুর রহমান বলে, আমার ভালো করার দরকার নেই। আমার সঙ্গে কথা বলো না।
এরপর মা ছেলেকে বলেন, মেজাজ ঠাণ্ডা করে পরে ফোন করার জন্য। কিন্তু ছেলে বলে ওঠে, মেজাজ ঠাণ্ডা হবে তখন যখন ওনার সঙ্গে দেখা হবে। সেদিন যে কী হবে উনার? আমি মিডিয়ার সামনে বলব তো, উনি কেমনে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করল। কেমনে বিয়ে করল। কিসের ইয়েতে! এগুলো মিডিয়ার সামনে বলব।