গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : কোভিড ১৯ বা করোনা ভাইরাস। যার মহামারিতে টালমাটাল সমগ্র বিশ্ব। ২০১৯ থেকে চীনের উহান প্রদেশ থেকে এই মহামারী ছরিয়ে আজ তা পুরো বিশ্বে ছরিয়ে গেছে। বাংলাদেশে জনবহুল দেশ এবং স্বাস্থ্য সেবা অপ্রতুল হওয়ায় ঝুকির মাএা আরো বেশি।
গত বছর অনেক সময় বাংলাদেশে লকডাউন দিলেও ২০২১ সালক এসে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের লকডাউন ঘোষনা করেছে সরকার। সাত দিনের ৫ এপ্রিল ছিলো প্রথম দিন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেই চীর চেনা জনবহুল অবস্হা। লকডাউন মানার তেমন কোন কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি প্রথম দিন। এক জায়গাতে অনেক মানুষের ভীর থেকে শুরু করে যানবাহনেও যাএী ভীর। সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে যানা যায় তারা নিরুপায় তাই রাস্তায় বের হতে হয়।
গাজীপুর চৌরাস্তায় কথা হয় বেশ কয়েকজনের সাথে, তারা জানায় কাজ না করলে কি খাবো। হয় করোনায় মরবো নয়তো না খেয়ে মরবো। না খেয়ে মরার চেয়ে করোনায় মরা অনেক ভালো। সামনে রোজা এবং ঈদ। যদি কামাই না করি তাহলে কিভাবে কি করবো। সরকারের এান তো সব ধনীরা পায় আমরা গরীবরা তো পাই না। ওয়ার্ডের নেতারা লিস্ট করে নাম দেয় এবং তারা পায় তাহলে আমরা রাস্তায় নামবো না কেনো?
জয়দেবপুর, চৌরাস্তা, কোনাবাড়ী ঘুরে একি অবস্হা লক্ষ্য করা গেলো। বাস না পাওয়ার মালবাহী পিকাপে করে অনেকে আসা যাওয়া করছেন। সিএনজি গুলোতেও ৬-৭ জন করে যাচ্ছে ঠাঁসাঠাসি করে। অটো গাড়িগুলোতেও ৭-৮ জন করে যাচ্ছে। যেনো স্বাভাবিক পরিস্থিতি। এ নিয়ে সিএনজি ড্রাইভারকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান সে সঠিক নির্দেশনা যানে না। যানে বাসে ১ জনের ২ সিট। যাএীরা বলছেন আমরা নিরুপায় কর্মে যেতে হবে এবং কাজ করে খেতে হবে। বস গুলোতে নেই কোন স্বাস্থ্য বিধি মানার উপায়। নেই কেন সেনিটাইজার।
কেনো এক সিএনজিতে ৬-৭ জন তাহলে প্রশাসনের এখানে ভূমিকা কি হচ্ছে, সেই বিষয় জানতে চাই গাজীপুর চৌরাস্তায় দ্বায়িত্ব পালন করা পুলিশের কর্মকর্তা পিআই সাব ইনস্পেক্টর তারিকুল সাহেবের কাছে। জানতে চাওয়া হয় ট্রাফিকের দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তাগন কেনো সিএনজি এবং অটোরিকশা গুলোর দিকে নজর রাখছেন না? তিনি আমাদের বলেন আমরা চেষ্টা করছি যেনো সকলেই এই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলেন এবং যাতে এক সিএনজি বা অটোরিকশায় এত যাএী বহন না করে সেই বিষয়ে সকলকে অবহিত করার।