অধিদফতর জানায়, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জনবল কিছুটা কমিয়ে নতুন রোস্টার করা হয়েছে। যারা অফিস করছেন তাদের অফিসের যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় স্বাভাবিকভাবেই চলবে পাসপোর্টের কার্যক্রম। তবে কমিয়ে আনা জনবলের অধিকাংশই এমআরপি বিভাগের হওয়ায় এমআরপির কার্যক্রমে কিছুটা ধীরগতি থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী বলেন, পাসপোর্ট মানুষের অনেক জরুরি বস্তু। তাই মানুষের সেবায় আমরা অধিদফতরের কার্যক্রম চালু রেখেছি। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা জনবল কমিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছি। ই-পাসপোর্টের আবেদনকারীরা আগের মতো সময়েই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন তবে এমআরপিটা একটু কম দিচ্ছি আমরা।
এর আগে ২০২০ সালে করোনা প্রাদুর্ভাবের পর মার্চের ২৩ তারিখ ঘোষণা দিয়ে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) বায়োমেট্রিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল।
ওই সময় অধিদফতর জানিয়েছিল, এ কার্যক্রমে ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডারে বারবার আঙ্গুল দিতে হয়, সেখানে হ্যান্ড গ্লাভস নয়, সরাসরি হাত দিয়ে কাজ করতে হয়। যেটা অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার বারবার মুছতেও হয়। এতে যেমন করোনা ঝুঁকি রয়েছে তেমনি ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব কিছু বিবেচনায় রেখেই এমআরপি বায়োমেট্রিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এবার সরকারি নির্দেশ মেনেই কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে দোকানপাট, শপিং মল, হাটবাজার। কেবল ওষুধ ও খাবারের দোকান খোলা থাকবে।