পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় সুইসাইড নোট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে হাফিজুল নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার সকালে উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের টগড়া এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত দুই মাস আগে হাফিজুল তার স্ত্রী লামিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। যে ঘরে তিনি আত্মহত্যা করেন সে ঘরে এখনও তার বাসর সাজানো রয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত হাফিজুল ইসলাম (২৮) একই এলাকার বাদশা হাওলাদারের ছেলে।
জানা যায়, হাফিজুলকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন তার স্বজনরা। পরে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
এর আগে হাফিজুল একটি সুইসাইড নোট লিখে রেখে যান। সুইসাইড নোটে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তার মরদেহটি যাতে ময়নাতদন্ত না করা হয়, সে জন্যও অনুরোধ করেন। তার কাছে চারজন লোক ৮১ হাজার টাকা পাবে, যা তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি বিক্রি করে পরিশোধ করতে বাবার প্রতি অনুরোধ রেখে যান। পরিবারের সবার কাছে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন ওই সুইসাইড নোটে।
ইন্দুরকানী থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, হাফিজুল নামে এক যুবক মারা গেছে বলে শুনেছি। তার পরিবারের লোকজন ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। সেখানে তিনি মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিচ্ছি।