হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ শহরের গোসাই পুর এলাকায় মানুষের পাউনা টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় দেনাদার পিতা পুত্র কে আটক করেছে জনতা।এসময় নানু মিয়া ও তুহিন মিয়ার জামিনদার ওই এলাকার সৌদি ফেরত ব্যাবসায়ী ফেরদৌস আহমেদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে অভিযুক্ত নানু মিয়া ও তার পুত্র উল্টো ফেরদৌস আহমেদের উপর অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়।বিষয়টি নিয়ে দিনভর এলাকায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
লিখিত অভিযোগ ও স্হানীয় সূত্রে জানা যায় , নানু মিয়া তার পুত্র তুহিন ,তুষার মিয়া, দুই স্ত্রী আফিয়া বেগম ও নাফিয়া বেগমকে নিয়ে গোসাইপুর এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছে।এ সুবাধে নানু মিয়া বিভিন্ন অনৈতিক কাজসহ অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পরে।
নাফিয়া খাতুনকে বিয়ে করার পর তার বড় বোন আফিয়া কে ফুসলিয়ে বিয়ে করে নানু মিয়া।একটি সূত্র জানায়, আফিয়া বেগমের ৫ম বিবাহ হয় নানু মিয়ার সাথে। পর্যায়ক্রমে তুষার তুহিনের জম্ম হয়।ওই দুই ছেলে যুবক হওয়ার পরে তাদের অপরাধ ও অপকর্ম দিনের পর দিন বেড়ে যায়। এলাকায় বসবাসের সুবাদে নিউ মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়া, ফারুক মিয়া, সেলিম মিয়া, শুকন লাল, হামিদা বেগমসহ বেশ কিছু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস বাকীতে ক্রয় করে তারা।
শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ী ফেরদৌস আহমেদের সাথে দীর্ঘদিন চলাফেরা ও অন্তরঙ্গের অধিকার কাটিয়ে তাকে জামিনদার দিয়ে ইনডেভারসহ ৩টি এনজিও প্রতিষ্টান থেকে হাজার হাজার ঋন উত্তোলন করে ।
গত শনিবার সকালে কৌশলে নানু মিয়া পরিবারের লোকজন নিয়ে গোপনে মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে খবর পেয়ে পাউনাদাররা নানু মিয়ার বাড়িতে ভীর জমায়।পরে বিভিন্ন ঋনের জামিনদার ফেরদৌস আহমেদ বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করেন।এই সিদ্ধান্ত কে কোন কর্নপাত না করে নানু মিয়ার পরিবারের লোকজন সদর হাসপাতালে মারামারির অভিযোগ এনে ভর্তি হয়ে মামলার প্রস্ততি নেয়।