নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
মঙ্গলবার সকালে কয়লাঘাট এলাকা থেকে ৫ জনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে সোমবার পর্যন্ত ২৯ মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর সামনে কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যায় লঞ্চটি। এমভি রাবিতা আল হাসান নামে লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে ৫টা ৫৬ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
ঘটনার সময় নদীর তীর থেকে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এসকে-৩ নামে একটি কার্গো জাহাজ বেপরোয়া গতিতে লঞ্চের পেছন দিকে সজোরো ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়। ঘটনার পর লঞ্চে থাকা বেশ কিছু যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
ওই সময় নদীর ঘাট থেকে বেশ কিছু নৌকা ও ট্রলার গিয়ে ২৫-৩০ জনকে উদ্ধার করে। দুর্ঘটনার পরপর ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ায় তাৎক্ষণিক উদ্ধার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেখানে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
লঞ্চের যাত্রী দিপু বলেন, তিনি তার মা মহারানীকে মুন্সীগঞ্জে পৌঁছে দিতে লঞ্চে করে যাচ্ছিলেন। লঞ্চটি নির্মাণাধীন শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি যাওয়ার পর পেছন থেকে এসকে-৩ নামে কার্গো জাহাজটি লঞ্চ বরাবর দ্রুত গতিতে আসতে থাকে। ওই সময় লঞ্চের পেছনে থাকা যাত্রীরা হাত নেড়ে লঞ্চ বরাবর না এসে পাশ দিয়ে যেতে ইশারা করেন। কিন্তু কার্গো থেকে লঞ্চটিকে সরে যেতে বলা হয়। এরপর কিছু বুঝে উঠার আগেই কার্গো জাহাজটি লঞ্চের পেছনে এসে সজোরা ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়।