বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনাকালে শুধু মালিকদের দিলেই হবে না, লকডাউনে শ্রমিকদের জন্য মাসিক সরকারি অনুদান দিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এ দাবি জানান। শ্রমিক দলের নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জাফরুল হাসানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনাকালে শুধু মালিকদের দিলেই হবে না, শুধু ব্যাংক থেকে ঋণ দিলেই হবে না। এই কোভিডকালে অবশ্যই শ্রমিকদের ভর্তুকি দিতে হবে। প্রত্যেক শ্রমিককে অবশ্যই সরকারের তরফ থেকে ত্রাণ সহযোগিতা করতে হবে। এই মুহূর্তে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় দাবি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এই দাবি আজকে করছি যে দেশে ইনফরমাল সেক্টরে যত শ্রমিক আছেন, আমাদের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে যত শ্রমিক আছেন, অন্যান্য কলকারখানার সঙ্গে যেসব শ্রমিক যুক্ত আছেন, তাঁদের প্রত্যেককে মাসের একটা অনুদান অবশ্যই দিতে হবে, যেটা অন্যান্যদের দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার পরিবর্তন করতে হলে, এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে হলে প্রধান যে দুটি শক্তি দরকার, একটা হচ্ছে ছাত্রসংগঠন, আরেকটি শ্রমিকসংগঠন। সেই সংগঠন তো আমরা সেভাবে গড়ে তুলতে পারছি না। সে কারণে আমি অনুরোধ করব, আসুন আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করি, কথা বলি, কীভাবে সংগঠনগুলোকে আবার গড়ে তোলা যায়, সেই চেষ্টা করি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আমাদের অনেক কষ্ট, অনেক দুঃসময়। অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। আমাদের প্রধান, যিনি আমাদের নেতৃত্ব দেন, যাঁর কথায় আমরা অনুপ্রাণিত হই, সেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তিন বছর ধরে কারাগারে। এটা ভাবা যায় না, কল্পনা করা যায় না। আজকে যিনি আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব, তিনি আট হাজার মাইল দূরে নির্বাসিত অবস্থায় আছেন। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা। নতুন করে আবার এই কয়েক দিনে ২০ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আসুন, জাফর ভাইয়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি এই শ্রদ্ধা নিবেদন হোক, এই শপথই আমরা করি যে আপনি নেই, কিন্তু আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমরা যত দিন বেঁচে আছি, আমরা তত দিন সংগঠনের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করব।’
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক স্কপ নেতা ওয়াজেদ-উল ইসলাম খান, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান, জাফরুল হাসানের মেয়ে নাসরিন হাসান প্রমুখ।