নিজস্ব প্রতিবেদক
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেছেন।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) মিন্নির অন্যতম আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আবেদনটির ওপর আইনজীবী জেড আই খান পান্না শুনানি করবেন।
এর আগে আলোচিত এ মামলায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড ও চার জনকে খালাস প্রদানের রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা আসামিরা হলো— মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।
এছাড়াও এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। খালাসপ্রাপ্তরা হলো— মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।
দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
পরে গত ৪ অক্টোবর আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়।
আইনগতভাবে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায় কার্যকরের পূর্বে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়, যা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পরিচিত।
প্রসঙ্গত, রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দুটি ভাগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু আসামি।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাং বন্ড গ্রুপ। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ওই বছরের ২ জুলাই মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ক্রসফায়ারে নিহত হয়। এরপর রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিকে আসামি দেখানো হয়। পরে মিন্নি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। তবে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর মিন্নিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এম এ হালিম