1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন

জার্মানির বার্লিনে চ্যান্সারি কমপ্লেক্সের অগ্রগতি ৩ বছরে ২ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১

প্রকল্প অনুমোদনের পর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও জার্মানির বার্লিনে চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণের আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ২ শতাংশ। মূল কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ এখনও শুরুই হয়নি।

আইএমইডির পরিচালক (সেক্টর -১) মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, জার্মানির বার্লিনে চ্যান্সারি কমপ্লেক্সে নির্মাণের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আমরা এই প্রস্তাবকে যৌক্তিক মনে করে মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। কারণ কাজটা বিদেশের মাটিতে হচ্ছে, জার্মান সরকারের নিয়ম কানুন মেনেই কাজটি করতে হবে। সময় লাগলে দিতে হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সম্পূর্ণ জিওবি অর্থে মোট ১০৯.৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০১৮ হতে জুন ২০২১ পর্যন্ত মেয়াদে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। সময় বাড়ানো হলে তা ২০২৪ সালে শেষ হবে।

তথ্য অনুযায়ী, মূল চ্যান্সারি ভবনের নির্মাণ কাজ এখনো শুরু হয়নি। প্রকল্পের নকশা তৈরি করা হয়েছে। এ বছরের আগস্ট/সেপ্টেম্বরের মধ্যে জার্মান সরকারের কাছ থেকে নকশার চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যাবে। এরপর দরপত্র আহ্বান করে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজের ঠিকাদার নিয়োগ করা সম্ভব হবে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পসমূহের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কোনরূপ নকশা প্রণয়ন ছাড়াই জমির অনুপাতে দেশভিত্তিক প্রতি বর্গমিটার, খরচ বিবেচনা করে একটি ধারণামূলক প্রাক্কলনের ভিত্তিতে ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়। প্রকল্প অনুমোদনের পর প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে নকশা প্রণয়ন, অনুমোদন গ্রহণ, প্রাক্কলনসহ অন্যান্য কাজ করা হয়। এরপর নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী নির্মাণ কাজ শুরুর পূর্বে প্রাথমিক কাজসমূহ সম্পন্ন করতেই ২/৩ বছর সময় প্রয়োজন হয়। জার্মান সরকারের আইন অনুসারে মোট ১১ ধাপে নকশা প্রণয়ন ও নির্মাণ তদারকি সম্পন্ন করতে হয়। এতে অনেক বেশি সময় ব্যয় হয়।

জার্মানিতে বাংলাদেশ সরকারের ক্রয়-সংক্রান্ত বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করে পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব আহ্বান করতে প্রায় ১০ মাস সময় লেগেছে। প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সদস্যদের সুবিধাজনক সময়ে বার্লিন ভ্রমণ করতে ২ থেকে ৩ মাস অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশ ও জার্মানিতে লকডাউন ও সীমিত আকারে দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হওয়ায় ৪ মাসের বেশি সময়ব্যাপী কাজ হয়নি। তা সত্বেও ৭ মাসের মধ্যে প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে।

প্রকল্পের প্রাথমিক স্থাপত্য নকশা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। বর্তমানে বিশদ স্থাপত্য নকশা প্রণয়নের কাজ চলছে। দরপত্র আহ্বান করে চলতি বছরের নভেম্বর – ডিসেম্বর নাগাদ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। উল্লেখ্য, প্রকল্পের সকল অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করতে প্রায় ২১ মাস সময় প্রয়োজন হবে এবং ২০২৪ সালের আগস্টে প্রকল্পটি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি পুরোপুরি সম্পন্ন করার জন্য প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে বাস্তবায়ন মেয়াদ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত অর্থাৎ ৩ ( তিন ) বছর ৬ ( ছয় ) মাস বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি