স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এই মুহূর্তে লকডাউন ব্যবস্থা জরুরি ছিল, তাই সরকার দিয়েছে। যখন লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রয়োজন হবে সরকার সেই সিদ্ধান্ত নেবে। এখন এসব সরকারি নির্দেশনা মেনে না চললে আগামীতে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তখন হাসপাতাল ও বেড বাড়িয়েও সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না।
স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও বেপরোয়া ঘোরাফেরায় সংক্রমণ বেড়েছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, মাত্র একমাসে সংক্রমণ ১০ গুণ বেড়েছে। দৈনিক ৬০০-এর নিচে ছিল সংক্রমণের হার, এখন তা হয়ে গেছে ছয় হাজার, সাত হাজার। অর্থাৎ ১০ গুণ বেড়ে গেছে। আজকে আমরা বেখেয়ালিভাবে চললে কী পরিণতি হয় তা আপনারা দেখছেন। প্রতিদিন যদি পাঁচশ থেকে এক হাজার রোগী বাড়ে, তাহলে পুরো শহরকেও হাসপাতালে রুপান্তর করলেও রোগী রাখা সম্ভব হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা যদি সংক্রমণ কমাতে চাই, মৃত্যু কমাতে চাই, তাহলে লকডাউনের যেসব বিধিনিষেধ আছে তা মেনে চলতে হবে।’
লকডাউন প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১৮টি জনগুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন করোনা প্রতিরোধে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলছে। অথচ দেশের কোথাও কোথাও লকডাউন তুলে নিতে আন্দোলন করা হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে লকডাউন ব্যবস্থা জরুরি ছিল, তাই সরকার দিয়েছে। যখন লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রয়োজন হবে সরকার সেই সিদ্ধান্ত নেবে। এখন এসব সরকারি নির্দেশনা মেনে না চললে আগামীতে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তখন হাসপাতাল ও বেড বাড়িয়েও সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না।’
ডিএনসিসি মার্কেট হাসপাতালটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উদ্বোধন করা সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এই হাসপাতালে একসঙ্গে যে ২০০টি আইসিইউ বেড করা হচ্ছে, তা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বিরল। এর পাশাপাশি এখানে আরও এক হাজারটি নতুন আইসোলেশন বেডও হচ্ছে। তবে বেড সংখ্যা যতই বৃদ্ধি করা হোক মানুষ যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলে তাহলে কোনো কিছুতেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, মার্চ মাসে না পেলেও চলতি মাসে সেরামের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তাই টিকা কার্যক্রম যথারীতি চলবে।
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নতুন সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এটিওএম নাসির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।