গত সোমবার রাত আনুমানিক পৌনে তিনটার দিকে মোয়াজ্জেম সরদার (৫৫) ও তার স্ত্রী মাকসুদা বেগমকে(৫০) চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে অজ্ঞান করে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কালকিনি উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের কোলচরি স্বস্তাল এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়রা বলেন, ছেলে সন্তানদের সাথে রাতের খাবার খাওয়া শেষে সবাই ঘুমানোর জন্য যার যার জাগায় চলে যায়।
কিন্তু সকালে তার মেয়ে ঘরের দরজা খোলা পায়, এবং তার বাবা মা কেউকে ঘরে দেখতে পায়নি। সকাল থেকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মোয়াজ্জেমের মেয়ে বলেন, তাদেরকে আমাদের জমিতে কাজ করার জন্য ফরিদপুর থেকে কয়েকজন কৃষক এনেছিলো আমার বাবা। কয়েক দিন পরে কয়েক জন কৃষক চলে যায় অবশিষ্ট একজন থাকে আমাদের জমিতে কাজ করার জন্য। কাজ শেষে যাওয়ার আগে গত সোমবার রাতে আমাদেরকে সাথে নিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খায় কৃষক আশরাফ। খিচুড়ি খেয়ে সবাই গভীর রাতে ঘুমিয়ে পড়ে তারপর অক্ষত অবস্থায় আমার মা ও বাবাকে কৃষক আশরাফ অপহরণ করে নিয়ে যায়।
মোয়াজ্জেমের শ্যালক বলে,আমি আমার দুলাভাই এবং বোনের নাম্বারে ফোন দিলে তারা ফোন রিসিভ করে ওই অপহরণকারী মোয়াজ্জেম সেজে সে আমার সাথে কথা বলেন আর বলে যে ভাই আমাকে এখান থেকে তোরা নিয়ে যা। ঠিক আছে এরা যা চায় তাই দিয়ে দে তাহলে আমাদেরকে এরা বাঁচিয়ে রাখবে আর না হলে আমাদেরকে এরা মেরে ফেলবে। তারপরে আমি তাদের ফোনের জবাবে বলি আপনারা যা চান আমি তাই দেবো তারপর তারা আমার কাছে দুইলক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আমি তা দিতে রাজি হয়েছি। আমি বলেছি আপনারা কিভাবে টাকা নিবেন সে নিয়ম বলেন সেভাবে আমি টাকা আপনাদেরকে দিবো। আপনারা আমার দুলাভাই ও বোনকে কোন ক্ষতি করবেন না। তারপর ওই অপহরণকারী আরো বলে যে তুই যদি আসলে কোন থানা-পুলিশকে আর সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানাস তাহলে একেবারে জীবনের তরে শেষ করে দিব তোর ভাই বোনকে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। অপহরণ চক্রকে ধরার জন্য আমাদের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে ।এছাড়া ইতিমধ্যে মাদারীপুর, ফরিদপুর এবং নড়াইল জেলায় অভিযান চলছে।