শনিবার (১০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ সরকার, জনগণ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে শোক জানিয়ে দেওয়া চিঠিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার অবদানের কথা স্মরণ করা হয়।
শুক্রবার সকালে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ ৯৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেস শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। বিবিসির এক অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে, মহামান্য রানি তার প্রিয় স্বামী ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করছেন।’
বাকিংহাম প্যালেসের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘শুক্রবার সকালে উইন্ডসর ক্যাসেল শান্তিপূর্ণভাবে রাজপরিবারের এই সদস্য মৃত্যুবরণ করেন।’ প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘তিনি অগণিত তরুণকে অনুপ্রাণিত করে গেছেন। প্রিন্স ফিলিপ যুক্তরাজ্য, কমনওয়েলথ ও বিশ্বজুড়ে প্রজন্মের পর প্রজন্মের অনুরাগ অর্জন করেছিলেন।’
আগাম ‘সতর্কতার’ অংশ হিসেবে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রিন্স ফিলিপকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে এক মাস থাকার পর গত ১৬ মার্চ সেন্ট্রাল লন্ডনের ওই হাসপাতাল থেকে তাকে আবার রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক কী কারণে প্রিন্স ফিলিপকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তা জানানো না হলেও হাসপাতালে ভর্তির সময় বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, প্রিন্স ফিলিপের অসুস্থতার কারণ করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নয়।