গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা সদর উপজেলায় জমি জমার সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় চার জন আহত হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা সদর উপজেলার মধ্য ধানঘড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ ওরফে কেরু মিয়ার সাথে একই গ্রামের মধু মিয়া গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে এক একর একুশ শতাংশ জমি নিয়ে ঝগড়া বিবাদসহ মনোমালিন্য চলিয়া আসিতেছিল।
গত ৪/৪/২০২১ইং তারিখে বিকালে ঝড়-বাতাসে আব্দুল আজিজ ওরফে কেরু মিয়ার জমিতে লাগানো কদম গাছ উপড়াইয়া জমিতে পরে। ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী, দাঙ্গাবাজ মধু মিয়াগংরা জোড়পূর্বক জমির মালিকানা দাবী করিয়া জমিতে উপড়েপড়া কদম গাছ কাটিতে আসিলে কেরু মিয়া নিষেধ করিলে মধু মিয়ার হুকুমে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সুসজ্জিত হইয়া মধু মিয়াগংরা কেরু মিয়ার উপর অতর্কিত আক্রমণ করিয়া এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। কেরু মিয়ার আত্মচিৎকার শুনিয়া তার ছেলে ফুল মিয়া বাবাক উদ্ধারের জন্য আগাইয়া আসিলে মধু মিয়ার হতে থাকা ধরালো ছুরি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্য ফুল মিয়া মাথার বামপার্শ্বে স্বজোরে চোট মারিয়া গুরুতর হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ফুল মিয়া জ্ঞান হারিয়া মাটিতে পড়িয়া গেলে তার স্ত্রী ফেন্সি বেগম আগাইয়া আসিলে শহিদুল কু-স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তার পড়নের কাপড় টানা হেচড়া করিয়া বিবস্ত্র করিয়া শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ সময় আফজলের হাতে থাকা কুড়াল দ্বারা কেরু মিয়ার মেয়ে সুমি বেগমের বাম পায়ে আঘাত করিয়া ফুলা ও রক্তাক্ত জখম করে।
এমতাবস্থায় সুমি বেগম মাটিতে পড়িয়া গেলে নাজনীন বেগম হত্যার উদ্দেশ্য সুমির বুকের উপর চড়িয়া গলা চাপিয়া ধরে। পরে স্থানীয় লোকজন আসিয়া তাদেরকে উদ্ধার করিয়া গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ করিলে মধু মিয়াগংরা খুন করিবে, জখম করিবে, জমির সাধ মিটাইবে বলিয়া বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া আসিতেছে। বর্তমানে কেরু মিয়ার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগিতেছে।