হবিগঞ্জ শহরের পুরাতন পৌরসভা এলাকায় তাসনুভা শামীম ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে হতদরিদ্র ১০ টাকায় খাবার ও ভবঘুরে পাগলের জন্য বিনা মূল্যে খাবার প্রদান সাইনবোর্ড দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।শুধু তাই নয় লোক দেখানো পাগলদের রাস্তা থেকে কুড়িয়ে নিয়ে প্রতিবন্দী স্কুলে পূর্নবাসনের নামে ফটো সেশন করাই যেন এদের কাজ।
সূত্র জানায়, গত ৯মাস পূর্বে শহরের পুরাতন পৌরসভা রোড এলাকায় হাজী আব্দুর রহিম কেন্টিন নামে একটি দোকান ভাড়ায় নেয় তাসনুভা শামীম ফাউন্ডেশন।সেখানে রঙিন বিশাল আকৃতির একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়।
সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে সুবিধা বঞ্চিত ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য ১০ টাকার বিনিময়ে খাবার।ভবঘুরে পাগলদের জন্য ফ্রিতে খাবার দেয়া হয়।কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।
স্হানীয় লোকজনের সাথে আলাপকালে জানা যায় ৯মাস পূর্বে দোকান ভাড়ায় নেয় তাসনুভা শামীম ফাউন্ডেশন।লোক দেখানো সাইনবোর্ড লাগানো থাকলেও বাস্তবে এর কোন কার্যক্রম নেই। প্রতিদিন অসংখ্য হতদরিদ্র ক্ষুধার্ত ভবঘুরে পাগল মানুষ দুমুটো খাবারের সন্দানে আসলেও দোকান বন্ধ দেখে মনে দুঃখ নিয়ে ফিরে যায়। শনিবার দুপুরে এমনি চিত্র উঠে আসে সাংবাদিকের ক্যামেরায়।খাবার খেতে আসে পঙ্গু একজন ভবঘুরে।পরে দোকান বন্ধ দেখে রাস্তায় বসে থাকে।
তাসনুভা শামীম ফাউন্ডেশনের
চেয়ারম্যান শাহ শামীম শায়েস্তানগর এলাকার বাসিন্দা ও আয়ারল্যান্ড প্রবাসী।তিনি দীর্ঘদিন আয়ারল্যান্ড থাকার সুবাদে ওই দেশ থেকে প্রতিবন্দী স্কুলের নাম করে টাকা এনে শহরের শায়েস্তানগর গাউছিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি প্রতিবন্দী স্কুল তৈরি করেন।একদল প্রভাবশালী যুবকদের নিয়ে গড়ে তুলেন সংঘটন।
সংঘটনের নাম করে প্রতিবন্দীদের দেখিয়ে বাংলাদেশসহ বাহিরের বিভিন্ন দেশ থেকে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা।এসব টাকা হতদরিদ্র দের কপালে না জুটলেও ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ রাতারাতি বড় লোক বনে যান।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফাউন্ডেশনের সাবেক সদস্য জানান, আমি সংঘটনে থাকার সুবাধে বিভিন্ন অনিয়ম চোখে পড়ে তাই সংঘটন ছেড়ে চলে আসি।
এ ব্যাপারে তাসনুভা শামীম ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজু আহমেদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে জানান, হাজী রহিম কেন্টিন উদ্বোধন করা হয় নি।৯মাস পূর্বে কেন সাইনবোর্ড দেয়া হল এ প্রশ্নের উত্তর পাশ কাটিয়ে যান তিনি।