নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, করোনা মহামারির এই লকডাউনের সময় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, পণ্যের ওজন এবং পরিমাপে কারচুপি রোধকল্পে চলমান মোবাইল কোর্ট ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) গঠিত সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। পবিত্র রমজান মাসে জনগণ যাতে মানসম্মত পণ্য ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারে, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ/প্রচার করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বিএসটিআই কর্তৃক আকস্মিকভাবে পরিচালিত অভিযানগুলোতে বিশেষ করে রোজাদারগণ সচরাচর যে সব খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে থাকেন এবং ইফতার সামগ্রীর উপর বিশেষ নজর রাখা হবে। রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অভাব হবে না। আমাদের চিনি ও লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। যদি কেউ কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চক্র কারসাজি করে সরকারের কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থ করে। কোভিডকালীন সময়ে সরকার এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফআইসি’র প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ৬৮ টাকা এবং মিল এলাকায় খোলা চিনি কেজি প্রতি ৬৩ টাকা দরে বিক্রয় হবে। নিম্নমানের ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সরবরাহরোধে বিএসটিআই কর্তৃক সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে ভোক্তাদের মধ্যে মানসম্মত পণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রির আহবান জানান। করোনার এই মহামারীতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি। রোববার রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মাননিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইর গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী ভার্চ্যুয়াল এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।