গাজীপুর গাছা থানাধীন চান্দরা গ্রামে গত ইং -২৪ / ০৬ / ২০২০ তারিখে দিবাগত রাত্রে অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন ডাকাত মৃত – আ. ছোবাহানের ছেলে মনু মিয়ার বাড়ীর জানালার গ্রীল কাটিয়া ঘরে প্রবেশ করিয়া মনু মিয়া ও তার স্ত্রী খােরশেদা বেগমকে মারপিট করতঃ গুরুতর জখম করিয়া ঘরের ভিতর হইতে ৫ টি দামী মােবাইল ফোন , ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১৫৬০০০ / – টাকা ডাকাতরা লুণ্ঠন করিয়া নিয়া যায় । উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে গাছা থানার মামলা নং -৩৪ ( ৬ ) ২০ , ধারা -৩৯৫ / ৩৯৭ পেনাল কোড রুজু হয় । গাছা থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে । গাছা থানা পুলিশ মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করিতে না পারায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স অত্র মামলাটি সিআইডি গাজীপুর জেলা এর নিকট তদন্তভার অর্পন করেন । সি,আই,ডি গাজীপুর জেলা ও মেট্রো এর পুলিশ পরিদর্শক ( নিঃ ) সাখাওয়াত হােসেন এর উপর মামলাটির তদন্তভার ন্যাস্ত করা হয় । উক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশেষ পুলিশ সুপার জনাব মােহাম্মদ রিয়াজুল হক , সিআইডি গাজীপুর মেট্রো ও জেলা এর সার্বিক দিক – নির্দেশনা প্রযুক্তি ব্যবহার করিয়া চান্দরা গ্রাম হইতে ডাকাতির ঘটনায় লুন্ঠিত ০২ টি মােবাইল ফোন সহ মোঃ জসীম উদ্দিন ওরফে ক্যাংগারাে জসীম ( ৪২ ) কে গ্রেফতার করে । পরবর্তীতে জসীম এর তথ্যের ভিত্তিতে আসামী বিজয় বাবু ( ২২ ) ও মোঃ আলামীন মন্ডল ( ২২ ) কে আটক করে ।
আলামীন মন্ডলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত আছে বলিয়া আদালতে বিস্তারিত ঘটনা বর্ননা করিয়া এবং ভাকাতি ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের নাম প্রকাশ করিয়া ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মােতাবেক দোষ স্বীকারােক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে । উক্ত আলামীন মন্ডলের বিজ্ঞ আদালতে দেওয়া জবানবন্দীতে প্রাপ্ত আসামী মোঃ রুবেল মিয়া ( ২৩ ) ও মােঃ সাব্বির মােল্লা ( ২২ ) কে গ্রেফতার করা হয় । তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা ঘটনার সাথে জড়িত আছে বলিয়া বিজ্ঞ আদালতে বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা করিয়া এবং ভাকাতি ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের নাম প্রকাশ করিয়া ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মােতাবেক দোষ স্বীকারােক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে । মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে জোড় অভিযান অব্যাহত আছে ।