তার জুনিয়র (সহকারী আইনজীবী)ও ভাগ্নে তসলিম আহমেদ খান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “বিস্তারিত কিছু এখনও জানি না। গত রাতে প্রেশার লো ছিল এতটুকু জানি। চিকিৎসকরা ক্লিয়ারলি কিছু বলেনি।
“বেলা ১১টার দিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে,এতটুকু জানানো হয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে স্যারের জন্য দোয়া চাই।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর গত ১৬ মার্চ থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মতিন খসরু।চিকিৎসাধীন অবস্থায় রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়ায় গত ২৮ মার্চ আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল তাকে। পরে অবস্থার উন্নতি হলে গত ৩১ মার্চ তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ছয়দিনের মাথায় গত ৬ এপ্রিল তাকে ফের আইসিইউতে নেওয়া হয়। এখন তাকে ‘লাইফ সাপোর্টে’ রাখা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিন খসরু কুমিল্লা-৫ আসনে পাঁচবারের সংসদ সদস্য। ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগ সরকারে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৮ সালে কুমিল্লা জজ কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন আব্দুল মতিন খসরু। পরে ১৯৮২ সাল থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে নিয়মিত প্র্যাকটিস শুরু করেন। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন।