রফিকুল ইসলাম মাদানীর মোবাইল ফোনে অশ্লীল আপত্তিকর পর্নোগ্রাফি ভিডিও পেয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। তিনি নিয়মিত পর্নো ভিডিও দেখতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উপ-পুলিশ কমিশনার ইলতুৎমিশ বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানী মোবাইল ফোনে নিয়মিত পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখাসহ রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তার বিরুদ্ধে মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(৫)(ক) ধারা যুক্ত করা হয়েছে। কারাগারে বন্দি রফিকুল ইসলাম মাদানীর ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) গাজীপুর সিনিয়ার জুডিসিয়াল আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটকের পর গত ৮ এপ্রিল গাছা থানায় রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর থেকে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একই আইনে গাজীপুরের বাসন থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন জানান, রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় নতুনভাবে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। তার মোবাইল জব্দ করে এক্সপার্টের কাছে দেওয়া হয়। এতে দেখা গেছে তিনি পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখতেন এবং সংরক্ষণ করতেন। পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ করা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই তার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পর্নোগ্রাফি মামলার ওই ধারাও সংযুক্ত করা হয়েছে। চার্জশিট দেওয়ার সময় ওই দুটি বিষয়ে আলাদাভাবে চার্জশিট দেওয়া হবে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন এডিসি মোহাম্মদ আহসান, গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন ও পরিদর্শক তদন্ত নন্দলাল প্রমুখ।