কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো, আরমান হোসেন (৪৩), মির্জা কাদেরের ছেলে তাশিক মির্জা (২৯), মিরাজ (৩৩) সহ অন্তত ১০জন। আহতদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মির্জা অনুসারী শাহদাত সিফাত দুপুরে বসুরহাট পৌরসভা ভবন থেকে ফেইসবুক লাইভে এসে উপজেলা আওয়ামী লীগ , যুবলীগ নেতাদের অকথ্য ভাষায় চরিত্র হনন করে বক্তব্য দেয়।
তার এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেখে উপজেলা আওয়ামী লীগ (একাংশ) মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা দুপুর ৩টার দিকে বসুরহাট বাজারে থানার সামনে জড়ো হয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
খবর পেয়ে বিকাল ৪টার দিকে কাদের মির্জা কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জা পৌরসভা থেকে তাদের অনুসারীদের নিয়ে জিরো পয়েন্টের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় থানার সামনে মুখোমুখি হলে তাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে বাদল অনুসারীরা।
এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলকে আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে বাদল অনুসারীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০জন আহত হয়।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অভিযোগ করে জানান, কোনো ঘটনা ছাড়াই বাদলের লোকজন পৌরভবনে আমাকে এবং আমার লোকজনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। এতে ছেলে তাসিক মির্জাসহ তার ৮জন অনুসারী আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, একটি ফেসবুক লাইভকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা পৌরসভা চত্বরে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সংঘর্ষে আহতদের বিষয়ে জানেন না ওসি।