তবে গতকালকের বিপর্যয় কাটিয়ে আজ রবিবার (১৮ এপ্রিল) সব বিশেষ ফ্লাইট সঠিকভাবে চলছে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাপরিচালক তাহেরা খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সৌদি আরবে ফ্লাইট ল্যান্ডিং অনুমতি মিলেছে বলেও জানান তিনি।
তাহেরা খন্দকার বলেন, বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার দ্বিতীয় দিনে কোনো সমস্যা নেই। সৌদি আরবের রিয়াদ ও দাম্মামে ফ্লাইট ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি মিলেছে। জেদ্দায় অনুমতি ছিল কিন্তু রিয়াদ ও দাম্মামে পৃথকভাবে অনুমোদন নিতে হয়। আমরা সব অনুমোদন পেয়েছি। আজ দাম্মামে বাড়তি একটি ফ্লাইট যুক্ত হয়েছে।
তাহেরা খন্দকার জানান, আজ রবিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রিয়াদের উদ্দেশে বিশেষ ফ্লাইট রওনা দিয়েছে। পাশাপাশি ওমানের মাস্কাটে ও দুবাইয়ে রওনা হয়েছে বিশেষ ফ্লাইট।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, দ্বিতীয় দিনে মোট ১২টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালিত হওয়ার কথা। দ্বিতীয় দিনে কোনো ফ্লাইট বাতিল হওয়ার শঙ্কা নেই।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ উল আহসান জানান, সারা দিনে পাঁচটি দেশে ১২টি বিশেষ ফ্লাইটের স্লট নির্ধারিত রয়েছে। এরই মধ্যে তিনটি ফ্লাইট রিয়াদ-মাস্কাট ও দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আজ কোনো সমস্যা নেই। সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে।
কঠোর লকডাউনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সিঙ্গাপুরসহ মধ্যপ্রাচ্যের পাঁচটি দেশে আবার তা চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে এসব ফ্লাইট চলাচলের কথা ছিল। কিন্তু গতকাল শনিবার ফ্লাইট চালুর প্রথম দিনেই ১৪টি ফ্লাইটের মধ্যে সাতটি ফ্লাইট বাতিল করায় দুর্ভোগে পড়েন প্রবাসী শ্রমিকরা। এর মধ্যে ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাঁচটি ফ্লাইট। বাকি দুটির মধ্যে বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ওমানের ফ্লাইট ও ফ্লাই দুবাইয়ের একটি। এর মধ্যে সৌদি আরবের তিনটি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী চারটি ফ্লাইট ছিল।
পর্যাপ্ত যাত্রীর অভাব ও সৌদি আরবে অবতরণের অনুমতি না পাওয়ার কারণেই ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয় বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।