মিজাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ডায়রিয়ার প্রকোপ দিন দিন বেড়ে চলেছে। এখন প্রতিদিন উপজেলা হাসপাতালে ৮০ থেকে ৯০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। হাসপতালের নির্ধারিত ওয়ার্ডের শয্যায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে এ রোগীদের অনেকেই হাসপাতালের বারান্দা কিংবা করিডোরের মেঝেতে শয্যা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে।
মির্জাগঞ্জে অন্যান্য রোগীর পাশাপাশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের। প্রায় এক মাস ধরে চলছে এ অবস্থা। কিছুতেই ডায়রিয়ার প্রকোপ কমছে না। পর্যাপ্ত স্যালাইন সরবারহ না থাকায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে রোগীরা। বিভিন্ন ঔষধের দোকানে ৯০ টাকার কলেরা স্যালাইন ১৭০ থেকে ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে রুগীর স্বজনদের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালের কেবিনসহ জেনারেল বেডের বাথরুম সবকটিই অপরিষ্কার। বেডের অভাবে রোগীদের ফ্লোরে থাকতে হয় নিজস্ব বিছানা পেতে। ওয়ার্ডের লাইট-ফ্যান অধিকাংশ নষ্ট। হাসপাতালের ভেতরের অধিকাংশ জায়গায়ই অন্ধকারে থাকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, ‘দেড় মাস ধরে এ হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়ে চলছে। তাদের চিকিৎসা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।’ ‘ডায়রিয়ার কারণ হিসেবে আমরা মনে করছি, মৌসুম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সিজনাল ভাইরাসই এর জন্য দায়ী। সবাই যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, তাহলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি এ থেকে মুক্তি পেতে পারি।