গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে টেলিকমিউনিকেশন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস প্রতিষ্ঠান অনৈতিকভাবে অর্থ আদায়ের দায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,গ্রাহকদের মুঠোফোনে বিভিন্ন সেবা সংযুক্ত বা তথ্য সরবরাহের নিমিত্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি থেকে গত ২০১০ সাল থেকে টেলিকমিউনিকেশন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস এর লাইসেন্স প্রদান শুরু হয়। যদিও গত ২-৩ বছরে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে সবচাইতে বেশি। বর্তমান এ এসেবা লাইসেন্স পেয়েছে মোট ১৮২ টি প্রতিষ্ঠান। গ্রাহকদের দীর্ঘদিন যাবৎ অভিযোগ ছিল তার অজান্তেই কিংবা তার অনুমতি ছাড়াই তাঁর মুঠোফোন থেকে টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। আমরাও এ বিষয়ে গ্রাহকদের তথ্য-উপাত্তসহ কমিশনের বিগত চেয়ারম্যান এবং বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করে বলেছিলাম অনৈতিক কার্যক্রম এর সাথে যুক্ত হয়েছে টেলিকমিউনিকেশন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস।
এ সকল প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের কোন প্রয়োজন নেই এমন দাবি করেছিলাম চেয়ারম্যানের কাছে। আমরা এও বলেছিলাম যে যদি কোনো গ্রাহকের এই ধরনের সার্ভিস এর প্রয়োজন হয় তাহলে স্বয়ং গ্রাহক নিজেই মোটো ফোন অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে সার্ভিস গ্রহণ করবেন। কিন্তু কমিশন আমাদের কথা কোন মূল্য দেয়নি। এমনকি কমিশন থেকে যখন বলা হল দুটি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের অজান্তে ৪৫ ও ৩০ লক্ষ টাকা লুটপাট করেছে। আমরা কমিশনের কাছে আবেদন করলাম যে গ্রাহকদের টাকা গ্রাহকদেরকে ফেরত দেয়া হোক। এ ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কমিশন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে আমাদের জানা নেই। গতকাল কমিশন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হলো তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমিশন জরিমানা করেছে এবং আরো ১১টি প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হঠাৎ করে কমিশন কেন এ ব্যবস্থা নিল সেটি পর্যালোচনা করলেই দেখা যায় যে এসকল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশন ৬.৫% রাজস্ব ভাগাভাগি এর অর্থ পেয়ে থাকে। অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়া ও ভাগাভাগি অর্থ না দেওয়ার কারণেই কমিশন মূলত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। এতে প্রতীয়মান হয় যে কমিশন তাদের রাজস্ব সংগ্রহ বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা নিয়েছে।
যেহেতু কমিশন অনৈতিক অর্থের ভাগ পায় তাই গ্রাহকদের অর্থ লুটপাটের দায় কমিশনেরাতে পারেনা। আমরা সরকারের কাছে দাবি করতে চাই এসকল অনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের সাথে কমিশনের ভিতরে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখার। এবং আজ আবারো দাবি করে বলতে চাই গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে আদায়কৃত অর্থ গ্রাহকদের ফেরত দেয়া হোক। না হলে ভবিষ্যতে আমরা মহামান্য আদালত শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব।