গাইবান্ধা শহরের ফকিরপাড়া মসজিদের সামন থেকে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের তিনদিন পর পলাশবাড়ী পৌর এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বিকেল ৪টায় গাইবান্ধা সদর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে পলাশবাড়ী পৌর এলাকার একটি বাড়ি থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় বাবলা মিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
অপহৃতার মা বাদি হয়ে গাইবান্ধা থানায় অপহরণ মামলা করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অপহৃতা মেয়েটি গাইবান্ধা স্বাধীনতা রজত জয়ন্তী বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।
করোনার কারণে লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় আমার মেয়েটি বর্তমানে শহরের ফকিরপাড়া নিজ বাড়ি থেকে তার নানার বাড়ি ডেভিড কোম্পানী পাড়ায় যাতায়াত করতো।
সেখানে যাতায়াত করার সময় আসামী পলাশবাড়ী পৌর এলাকার মোঃ শাহানুর মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান সিয়াম(১৭) আমার মেয়েকে ভালোবাসা এবং পরবর্তীতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সিয়ামকে সহযোগিতা করতো তার বড়ভাই বাবলা মিয়া(২৬), পলাশবাড়ীর হরিনমারী গ্রামের রনজু মিয়ার ছেলে অপূর্ব মিয়া (১৮), গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী বালুয়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে আবির হোসেন(১৭) এবং একই এলাকার বুলবুল (৩৫)।
এজাহারে বলা হয়, প্রেমের প্রস্তাব ও বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
তারা গত ১৫ এপ্রিল রাত পৌনে আট টারদিকে শহরের ফকিরপাড়া মসজিদের সামন থেকে আসামীরা জোরপূর্বক স্কুল ছাত্রীকে মাইক্রোযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর আসামী বাবলা মিয়ার বাড়িতে অপহৃতার মা লোকজন নিয়ে হাজির হয়ে মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
কিন্তু তারা আমার মেয়েকে সিয়ামের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য জোর করে।
আমরা নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বাড়ি হতে তাড়িয়ে দেয়।
এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর ভগ্নিপতি ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
পরবর্তীতে মেয়েকে খুজে না পাওয়ায় ১৭ এপ্রিল রাতে অপহৃতার মা বাদি হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করেন ।
গাইবান্ধা থানার ওসি মাহফুজার রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ আজ রোববার বিকেল ৪টায় পলাশবাড়ী পৌর এলাকায় আসামী মেহেদী হাসান সিয়ামের চাচার বাড়ি “তন্ময় ভিলা” তল্যাশি চালিয়ে অপহৃতা মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, উদ্ধারকৃত মেয়েটিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু মেয়েটি বলছে সে অপহরণের শিকার হয়নি। সেচ্ছায় আসামী মেহেদী হাসানের সাথে চলে গেছে এবং তাদের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বিবাহ পড়ানো হয়েছে।।
কোথায় কার বাড়িতে বিবাহ পড়ানো হয়েছে তা সঠিক করে বলতে পারছে না।
তাই আগামীকাল ভিটটিমকে আদালতে হাজির করা হবে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।