বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা পরিক্ষা পাশের মূল সনদ নিতে সংকট সৃষ্টি হয়। যারা শিক্ষাসনদের ছায়া লিপি নিয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি স্বায়িত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব পূর্ন পদে কর্মরত। কিন্তু তাদের পরিক্ষা পাসের মূলসনদ পত্র স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে দেখাতে না পারায় অনেকেরই বেতন ভাতা ও চাকরি আটকে যায় । যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে গেছে, সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদেরকে সনদ কে দেবে ? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে দীর্ঘ ৫ বছর লেগেছে।
শিক্ষমন্ত্রণালয় এই ব্যাপারে সঠিক কোন সিধান্ত দিয়ে পারেনি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চরম বিপদে পড়ে। এক পযার্য়ে দারুল ইহসান বিশ্ব বিদ্যালয়ে সুপ্রিম কোর্ট কতৃক বৈধ মাহমুদ আহম্মেদ পরিচালিত ২৯ টি ক্যাম্পাস এর পক্ষে মাহমুদ আহমেদ শিক্ষামন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন স্থানে আবেদন নিবেদন করেন। কিন্তু হয়রানি ছাড়া কোন সদুত্তর মেলেনি। অতঃপর বৈধ ২৯টি ক্যাম্পাসের পক্ষে পরিচালক মাহমুদ আহমদ বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশ রত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত ভাবে তুলে ধরেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্ষালয়ের নির্দশনা মোতাবেক শিমন্ত্রণালয় র্দীঘ দিনের আটকে থাকা দারুল ইহসান বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসনদ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। এই সংকান্ত একটি প্রঙ্গাপন শিমন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে ১০ মার্চ ২০২১ প্রকাশ করা হয়। ১৬/ ০২ / ২০২১ তারিখে দারুল ইহসানের সকল শিক্ষার্থীদের সনদের বৈধতা দিয়ে চিঠি ইস্যু করা হয়। যার একটি কপি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ২৯টি বৈধ পরিচালক মাহমুদ আহমেদের কাছে পেরন করা হয়। একই সঙ্গে সনদ ইস্যুর জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তালিকা প্রেরনের প্রস্তাব দেয়া হয়। এই সংক্রান্ত একটি প্রঙ্গাপন জারি করা হয়।
৩ সদস্যের সনদ ইস্যুর পর্ষদ ঘটনের পর দারুল ইহসান বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরিচালক মাহমুদ আহমেদের নেতৃত্বাধিন ২৯ টি ক্যাম্পাসের অনুকুলে মূলসনদ ইস্যুর করার ক্ষেত্রে আর কোন বাধা রইলো না । বন্ধকৃত দারুল ইহসানের ২৯ টি বৈধ ক্যাম্পাস মূলসনদ ইস্যু করতে পারবে ।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এই বাস্তবিক ও মানবিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দারুল ইহসান বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরিচালক মাহমুদ আহমেদ ।