করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলাকালেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ কার্যক্রম নিয়ে প্রতিনিয়ত খামারি ও ভোক্তোদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গত ৫ এপ্রিল থেকে আজ (২০ এপ্রিল) পর্যন্ত সারাদেশে ১৩৩ কোটি ২১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৬৫ টাকা মূল্যের মাছ, গরুর মাংস, দুধ, ডিম, মুরগি ও বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য ভ্রাম্যমান ব্যবস্থায় বিক্রয় হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণন কার্যক্রম নিয়মিত তদারকী করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণন সচল রাখার কাজে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সারাদেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা-খামারি ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব।
এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, “করোনার এই ভয়াবহ ক্রান্তিকালেও মন্ত্রণালয় এবং সারাদেশে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনস্বার্থে ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। একইসাথে এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন, পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, মৎস্যজীবী অ্যাসোসিয়েশনসহ প্রান্তিক খামারিরা ঝুঁকি নিয়েও এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখছেন। পাশাপাশি সারাদেশে গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা করোনা ঝুঁকির মধ্যেও মন্ত্রণালয়ের এ সময়োপযোগী উদ্যোগ জনসম্মুখে তুলে ধরছেন। এতে একদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিরা যেমন ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিপণন করে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য সহজে ক্রয় করতে পারছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি সংশ্লিষ্টরা এ কাজে আরো উৎসাহিত হবেন।”
এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে ও পবিত্র রমজান মাসে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিতকরণে দেশের ৮টি বিভাগের ৬৪ জেলায় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমান বিক্রয় অব্যাহত রয়েছে। এ কাজে সম্পৃক্ত আমাদের মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডেইরি, পোল্ট্রি ও মৎস্য খামারি এবং এ কার্যক্রম জনগণের কাছে তুলে ধরার জন্য সারাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”