করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাত দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ পর তা আরও সাত দিন বাড়ানো হয়েছে। সেই বর্ধিত লকডাউনের প্রথম দিনে আজ ঢাকার রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল বেড়েছে।
সকাল ১০টায় অনেককে গন্তব্যের উদ্দেশে হেঁটে যেতে দেখা যায়। অনেককে বিভিন্ন মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়। ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি।
ফার্মগেট মোড়সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েক দিন ধরে ব্যারিকেড বসিয়ে রাস্তা সংকীর্ণ করে রেখেছে পুলিশ। ফার্মগেটে সকাল ১০টার দিকে দেখা গেছে গাড়ির জটলা। সাধারণত এই স্থানে অন্য সময় এমনটা দেখা যায় না।
এ ছাড়া মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ মোড়ে (তিন রাস্তার মোড়) অন্য দিনের তুলনায় বেশি যানবাহন দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি চলছে সেখানকার রাস্তা ধরে। যাত্রীর জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে রিকশা, মোটরসাইকেলকেও। মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ থেকে আসাদগেট পর্যন্ত রাস্তার পাশের ফুটপাত ধরে অনেককে হেঁটে যেতে দেখা গেছে
কারওয়ান বাজারে একজন মোটরসাইকেল রাইডারের সঙ্গে দেখা। অ্যাপসভিত্তিক মোটরসাইকেল সেবা বন্ধ থাকায় অ্যাপস ছাড়াই মোটরসাইকেল চালাতে বের হয়েছেন তিনি। যাত্রীর জন্য দাঁড়িয়ে থাকা এই চালক বলেন, ‘লকডাউনের অনেক দিন হয়ে গেছে। আর সহ্য হচ্ছে না। ঘরে বসে থাকলে খাবার খরচ কে জোগাবে?’
ফার্মগেট মোড়ে শফিকুল আলম নামের একজনকে রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘যাত্রাবাড়ীতে যেতে হবে। গার্মেন্টসের কাজ আছে। কোম্পানি থেকে কোনো গাড়ি দেয়নি। রিকশার ভাড়া দিতে দিতে কুলাচ্ছে না। মিরপুর থেকে প্রতিদিনই যেতে হচ্ছে কোনো না কোনো জায়গায়।’
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু হঠাৎ উর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে প্রথম দফায় ৫ এপ্রিল সাত দিনের লকডাউন দেওয়া হয়। ঢিলেঢালাভাবে পালিত সেই লকডাউনের মধ্যেই ১৪ এপ্রিল থেকে আবার সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হয়। গতকাল শেষ হওয়া সেই সর্বাত্মক লকডাউন আবার বর্ধিত করা হয় আরও এক সপ্তাহের জন্য। এর মধ্যেই বর্ধিত লকডাউনের প্রথম দিনে ঢাকার রাস্তা গত এক সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেশি ব্যস্ত দেখা গেছে।