সিআরআই/ ইয়াংবাংলা/ লেটস্ টক প্রোগাম/ জয় বাংলা কনসার্ট/ জয় বাংলা আওয়ার্ড- এগুলো আওয়ামী লীগকে শুধু পিছিয়েই দেয়নি বরং তৈরি করেছিলো বিশাল একটি বিশ্বাসঘাতক বাহিনী। এই মাধ্যমগুলোর সাথে যারা জড়িত ছিলো সকলেই এ জন্য দায়ী।
নসরুল হামিদ বিপু, শাহরিয়ার আলম, আরাফাত আলী,জুনাইদ আহমদ পলক, নইম রাজ্জাক, শাহ আলী ফরহাদ (বিতর্কিত বংশীয়), তন্ময়- এই নামগুলো এই প্লাটফর্মের দাপুটে উচ্ছ্বস্বরিত হতো।
এই মানুষগুলো মূলত আওয়ামী লীগকে নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দিতে গিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির হাতে দলকে সপে দিয়েছে। আর কথিত এসব প্লাটফর্মের আধুনিক প্রজন্মগুলোই ছিলো জুলাই বিপ্লবের সম্মুখসারিতে।
এই নেতা এমপি, মন্ত্রীরা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য প্লাটফর্ম গড়ে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং রাদওয়ান সিদ্দিক ববিকে যুক্ত করেছিলো। সারাদেশের বিতর্কিত লোকদের সাথে সাক্ষাৎ, প্রোগাম, আওয়ার্ড তুলে দেওয়ার কাজটাও ওরাই করতো।
কাকে কোন প্রোগ্রামে নিতে হবে, কাকে আওয়ার্ড দিতে হবে এসব কাজ তো মিঃ জয় বা মিঃ ববি করতো না। তারা দুজনেই পাশ্চাত্যের শিক্ষায় শিক্ষিত। কাজেই তাদের দেশীয় টাউটদের কর্মকান্ড না বুঝে স্বাভাবিকভাবেই বিপদে পড়েছেন।
আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে এইসব ইয়ং শিক্ষিত টাউট নেতাগুলো। যার ফলাফল জুলাই থেকে আমরা নিয়মিত দেখে আসছি।
এই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে যখন এ/বি/সি টিম কাজ করে তখনো ওই একই অবস্থা। আর অনলাইনে কাজ করে আওয়ামী লীগ ধারন করা এক বিষয় না। আওয়ামী লীগ সাধনার বিষয়, হৃদয়ে লালন করার বিষয়। একমাত্র আদর্শের সঠিক চর্চার মাধ্যমেই কেবল এ দলের পুনরুদ্ধার পুনরুত্থান সম্ভব। হতে হবে জনগণবান্ধব।
গণমাধ্যমেও ছিলো একই অবস্থা। এক শ্রেণীর কাউয়ার কারণে এখানে ত্যাগীদের করা হয়েছে বঞ্চিত। ইউনিয়ন / প্রেসক্লাবে নেতা বানানো হতো পকেট থেকে বের করে! আর তাইতো সৃষ্টি হয়েছিলো বিভিন্ন ভাইপন্থি সাংবাদিক। অবশ্য এখন কথিত ওইসব ভাইয়েরা না থাকলেও তাদের অনুসারীরা চেহারা পাল্টে মিডিয়ায় আছে দাপটে!