এ বছরও বাংলাদেশে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরও সর্বনিম্ন ৭০ টাকাই ছিল তবে সর্বোচ্চ ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা।
সভায় সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ইসলামি শরিয়াহ মতে গম, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোনো একটি দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। উন্নতমানের গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে অর্ধ ‘সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭০ (সত্তর) টাকা দিতে হবে।
যব দিয়ে আদায় করলে এক ‘সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২৮০ টাকা, কিসমিস দিয়ে এক ‘সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৩২০ টাকা, খেজুর দিয়ে এক ‘সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৬৫০ টাকা, পনির দিয়ে এক ‘সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত গম, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এসব পণ্যের যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দিয়ে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর ড. মাওলানা মুহাম্মদ কাফিলুদ্দীন সরকার ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহূল আমীন, বিশিষ্ট আলেম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার, উপ-পরিচালক ড. মাওলানা আবদুল জলীল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ূর রহমান খান ও মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারীসহ দেশের বিশিষ্ট আলেম ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।