বিএনপির স্থায়ী কমিটির নিয়মিত সভা (ভার্চুয়াল) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে লন্ডনে অবস্থানরত দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সবার নজর দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের দিকে থাকলেও ইলিয়াস আলীকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির চিঠির জবাব আজও দেননি তিনি।
এতে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, চিকিৎসকের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট থাকায় বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি কয়েকদিন আগে করোনা থেকে মুক্ত হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজকের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা এবং লকডাউন সফল না করতে পারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির নেতারা মনে করেন, গরিব দুঃস্থদের ঘরে খাবার না পৌঁছালে কোনো দিন লকডাউন সফল হবে না। কারণ পেটে ক্ষুধা থাকলে মানুষকে রাস্তা নামা থেকে বিরতির রাখা যাবে না। এছাড়া আজকে দেশে টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, তা সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা এবং দলীয় লোকদের ব্যবসায়িক সুবিধার্থে করোনা টিকা আমদানিতে একমাত্র ভারত নির্ভরতা দায়ী বলেও উল্লেখ করা হয় বৈঠকে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আজকের বৈঠকে সবার নজর ছিল মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের ওপর। কারণ দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের পেছেন দলের নেতাদের যোগসূত্র আছে এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে গত বৃহস্পতিবার তার ব্যাখা চেয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ফলে, বৈঠক এই বিষয়ে তিনি কী বলেন, তা নিয়ে সবার আগ্রহ ছিল। কিন্তু তিনি বৈঠক এই নিয়ে কোনো কথা বলেননি। আর অন্যরা তার কাছে এই বিষয়ে কিছু জানতে চাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক এক সদস্য বলেন, ‘মির্জা আব্বাসকে চিঠি জবাব দিতে যে তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছিল তা আজ শনিবার শেষ হচ্ছে। আমি যতটুকু জানি তিনি চিঠির জবাব দেবেন। চিঠির জবাবের বিষয়ে তার কাছের বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্যসহ কয়েকজন নেতার সঙ্গে পরামর্শও করেছেন।’
এই নেতা আরও বলেন, ‘আশা করি, আগামীকাল রোববার (২৫ এপ্রিল) যেকোনো সময় মির্জা আব্বাস চিঠির জবাবের লিখিত ব্যাখা জমা দেবেন।’