বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তির আবেদনের সময় বাড়িয়ে আগামী ৩ মে বিকেল ৩টা পর্যন্ত করা হয়েছে। আজ শনিবার বুয়েটের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বুয়েটের ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার সাব্বির আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বুয়েটের ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয় গত ১৫ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে। আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল আজ ২৪ এপ্রিল বিকাল ৩টায়। কিন্তু বিদ্যমান লকডাউনের কারণে আবেদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আবেদনের সুযোগ আরও ৯ দিন বাড়ানো হয়েছে।বুয়েট স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা নেবে দুই ধাপে। এর মধ্যে প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষা (প্রাথমিক বাছাই) নেওয়া হবে আগামী ৩১ মে ও ১ জুন। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ১০ জুন চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
‘ক’ গ্রুপে (প্রকৌশল ও বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পন বিভাগ) আবেদন, প্রাক্-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি বাবদ ১ হাজার এবং ‘খ’ গ্রুপে (প্রকৌশল ও বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পন বিভাগ ও স্থাপত্য বিভাগে) ১ হাজার ২০০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি দিয়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আগামী ৩১ মে ও ১ জুন চার শিফটে এক ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৫ জুন মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য আবেদনকারীদের নাম প্রকাশ করবে বুয়েট। আগামী ১০ জুন বুয়েটের মূল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আগামী ১ জুলাই নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আবেদনের পদ্ধতি
আবেদন করার নিয়ম ও ভর্তির নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (https://www.buet.ac.bd)–তে পাওয়া যাবে। ভর্তি পরীক্ষার সব কার্যক্রমের খবর বুয়েটের ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ডে পাওয়া যাবে।
আসন সংখ্যা
পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট তিনটি এবং স্থাপত্য বিভাগে ১টি সংরক্ষিত আসনসহ মোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ২১৫।