গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বকর প্রধানের বড় ভাই আব্দুর রহমানের ছেলে আবু বক্কর প্রধানের ভাতিজা জেনারুল আহম্মেদ ঠান্ডার নেতৃত্বে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসহায় এক নারীর পত্রিক সুত্রে পাওয়া জমির প্রায় ২৫ মন আধা পাকা ধান জোড় পুর্বক কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।অত্র এলাকায় আবু বক্কর প্রধানের ভাতিজা জেনারুল আহম্মেদ ঠান্ডা নিজেকে স্থানীয়দের নিকট ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বলে দাবী করেন।
সারাদেশে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি নির্দেশে কৃষকের ফসল ঘরে তুলে দিতে দলীয় নেতাকর্মীরা কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন। সেখানে পলাশবাড়ীর প্রত্যন্ত গ্রামীন অঞ্চলে দলীয় ও পেশাশক্তির বলে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে অসহায় বেবী বেগমের পত্রিক সূত্রে পাওয়া সত্যপিরের সম্পতিতে রোপনকৃত আধা পাকা ধান কেটে নিয়ে যায়। অসহায় নারী কোন আকুতি মিনতি ভাড়াটিয়া লোকজনের মনে গলেনি তারা ধান জোড় পূর্বক কেটে নিয়ে যান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলা কিশোরগাড়ী মৌজার জেএল নং-১ খতিয়ান নং- ১৭৫,দাগ নং-২৩০৩ জমি মোট ২৮ শতাংশ নালিশী জমিতে ২৫ এপ্রিল রবিবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, এ জমিতে ধান রোপন করেন বেবী বেগম। দীঘ দিন হলো অন্যের দখলে থাকা জমিটি গতবার থানা পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করে বেবী বেগম এরপর হতে সে ভোগদখল করে আসছে এবং উক্ত ধান রোপন করেন। আজ সকালে ২০ হতে ২৫ ভাড়াটিয়া লোকজন লাঠি সোটা,দেশীয় ধারালো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। অত্র এলাকার সেচ মালিক জানান, তার নিকট হতে সেচ নেন বেবী বেগম তিনি এ জমির বৈধ মালিক। তবে একটি গং অসহায় এ নারীর পত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পতি জোড় পূর্বক দখল করে ভোগ করছেন একটি চক্র। যাদের শক্তি ও অর্থ দুটোই আছে আর আছে ব্যাপক ক্ষমতা বিধায় অসহায় এ নারী কোথাও কোন সহযোগীতা পাচ্ছে না।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বেবী বেগম বাদি হয়ে জেনারুল ইসলাম ঠান্ডাসহ ১৫ জন ব্যক্তির নামে ২৫ এপ্রিল রবিবার রাতে পলাশবাড়ী থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এ এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, উক্ত নারী সমপ্তি জোড় পূর্বক ভোগ ও আত্মসাৎ করতে তার সৎ চাচা সহ অভিযুক্ত গং উক্ত অসহায় নারীর ক্ষতিসাধন ও প্রানহানি ঘটনোর হুমকি ধামকি চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতবস্থায় উক্ত গং এর ভয়ে বেবী বেগম ও তার পরিবার ব্যাপক অনিরাপত্তায় জীবন যাপন করছেন।
অভিযুক্ত জেনারুল আহম্মেদ ঠান্ডার নিকট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উক্ত জমির ধান বৈধমালিক ও তার লোকজন কর্তন করেছেন। বেবী বেগম তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা।তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের কাগজপত্রাদি দেখাবো এবং সময় মতো ডেকে জানাবো।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মতিউর রহমান জানান,অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, জেনারুল আহম্মেদ ঠান্ডা যুবলীগের কোন পদে নাই । কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে এই চক্রটি মানুষের রক্ত চুষে খাওয়ার মতো জমি ,জমা ,ফসল খায়। অর্থের বিনিময়ে অন্যের সম্পদ দখল করার দায়িত্ব পালন করে থাকে। এমন কোন ঘটনা নাই সেখানে তাদের উপস্থিতি নেই। ইউনিয়নে যেখানে যে কোন ঘটনা ঘটুক দেখবেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তার সাথে আছেই। যাদের দাড়িয়ে কথা বলার সাহস নেই তারা আজ অসহায় মানুষের বুকে উপর চরে নৃত্য চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে এখনি দলীয় ভাবে ও আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী।