নিজস্ব প্রতিবেদক
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মাসেতু শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাহস ও সক্ষমতার প্রতীক। তেমনি ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক ইঞ্জিনিয়ারদের সফলতার প্রতীক। হাওড়ের মাঝখানে এরকম সড়ক নির্মাণ হাওড়ের বিস্ময় বলে পরিচিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের ৮৮ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩১টি স্থাপনের কাজ শেষ করেছি। বাকি ১০টি জুলাইয়ের মধ্যে বসানোর টার্গেট ছিল। কিন্তু পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে এ স্প্যানগুলো স্থাপনের কাজ একটু বিলম্বিত হলেও অন্যান্য কাজ থেমে নেই। স্রোতটা একটু শান্ত হলেই বাকি স্প্যান বসানোর কাজ শুরু করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সেখানে উপস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আরেকটি স্বপ্নের প্রকল্প তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট ঢাকা মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ এটির কাজও করোনাকালে নানান বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও ৫০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। এছাড়া মেট্রোলাইন-১ এবং মেট্রোলাইন-৫ এর নির্মাণ কাজের প্রস্তুতিও এগিয়ে চলছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি মেট্রোলাইন নির্মাণ করব। সারা ঢাকা শহরকে যানজটনমুক্ত করার পথে এটা হবে সূদুরপ্রসারী পদক্ষেপ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় ৩৩টি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করেছি। আপনার (প্রধানমন্ত্রী) সুবিধামতো সময় পেলে সেগুলো উদ্বোধন করা হবে। আমাদের সবগুলো কাজই আশ্চর্য দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনাকালে প্রথম প্রথম বিদেশি জনবলের অনেকেই ছুটি যাওয়ায় সমস্যা ছিল। এখন তারা এসেছেন। এখন আগের মতোই কাজ চলছে।