খালেদা জিয়াকে গতকাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. এফ এম সিদ্দিকী জানিয়েছিলেন যে, সিটি স্ক্যান, চেস্ট এক্সরে, ইকো-ইসিজিসহ বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে বাড়িতে নেয়া হবে। কিন্তু রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সময়ে বলা হয়েছিল তার পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো সময় সাপেক্ষ, এজন্য তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে। কিন্তু আজ দুপুরে জানানো হলো যে, বেগম খালেদা জিয়া আরো কয়েকদিন হাসপাতালে থাকবেন। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং চিকিৎসা নিয়ে এক ধরণের ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে এবং লুকোচুরি চলছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে, বেগম খালেদা জিয়া গত কয়েকদিন ধরেই বুকে ব্যথা অনুভব করছেন। বুকে ব্যথার জন্যই তার ইকো করা হয়েছে। খালেদা জিয়া উচ্চরক্তচাপের একজন রোগী। তাই তার হৃদরোগজনিত কোন সমস্যা আছে কিনা এটা পরীক্ষার জন্য তাকে দুই তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।
একাধিক চিকিৎসক বলেছেন যে, করোনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, তার অসুস্থতা এখন হৃদরোগ জনিত মনে হচ্ছে। তবে অন্যান্য চিকিৎসক যিনি এফ এম সিদ্দিকীর সঙ্গে কাজ করছেন তিনি বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে করোনার উপসর্গ না থাকলেও তিনি নানারকম জটিলতায় ভুগছেন এবং এই জটিলতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। আসলে বেগম খালেদা জিয়া কত দিন হাসপাতালে থাকবেন এবং তার অসুস্থতা কি- এই নিয়ে গোপনীয়তা করা উচিৎ নয় বলে মনে করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, শুরু থেকেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে নানারকম তালবাহানা এবং লুকোচুরি খেলা চলছে। এটি যেমন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য ভালো নয় তেমনি বিএনপি`র জন্য ইতিবাচক নয়।