করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তিন দফার কঠোর বিধি-নিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে এবারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। আগামী ৬ মে থেকে গণপরিবহন চলবে, তবে সেটা শহরের ভেতরে। বন্ধ থাকবে আন্তজেলা বাস চলাচল।
গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি মিললেও বাস মালিকরা এখনও সরকারের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পাননি। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গণপরিবহন বন্ধ রাখার বিষয়টিও পরিষ্কার নন তারা। কোন রুটে কিভাবে গণপরিবহন চালানো যাবে সেটা নিয়েও অন্ধকারে আছেন তারা।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবে আমরা সেভাবেই বাস চালাব’।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যাত্রীবাহী বাস কিভাবে চলবে তা স্পষ্ট করে শিগগির প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এর পরেই বলা যাবে কোন কোন রুটে, কিভাবে গণপরিবহন চলবে’।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, প্রজ্ঞাপনে বাস চলাচলের সব নির্দেশনা দেওয়া হবে। যার মধ্যে প্রথমেই থাকছে সিটি সার্ভিস ও জেলার বাস সার্ভিস অন্য জেলায় প্রবেশ করতে না পারার বিষয়টি। এছাড়াও বাস ছাড়ার আগে পুরো বাসে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। যাত্রী, বাসচালক ও সহকারীকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সিট খালি রেখে গণপরিবহন চালাতে হবে।
সোমবার (৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকেদের মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে আগামী ৬ মে থেকে জেলার ভেতরে গণপরিবহন চলবে। তবে গণপরিবহন জেলার ভেতরে চলাচল করতে পারবে। আন্তজেলা চলাচল করবে না।
তিনি বলেন, মালিক সমিতি আমাদের কথা দিয়েছে, যদি কোনোভাবে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করা হবে না। তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এটা আমরা দেখব। লঞ্চ এবং ট্রেন বন্ধ থাকবে। যেহেতু ওগুলো এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যায়। সুতরাং বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার সারাদেশে বিধি-নিষেধ আরোপ করলে ওই দিন থেকেই গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। পরে ৭ এপ্রিল থেকে কেবল সিটি করপোরশনগুলোতে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। ১৪ এপ্রিল সরকার আরো কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করলে ওই দিন থেকে ফের বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।