স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টা বৈঠক করেছেন হেফাজতে ইসলামের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। যেখানে হেফাজতের পক্ষে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছেন।
দাবিগুলো হচ্ছে- হেফাজতে ইসলামের গত আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে গ্রেপ্তার হওয়া আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া; আলেম-উলামা এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের গ্রেফতার-হয়রানি আতংক থেকে মুক্তি দেওয়া; ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে যে মামলাগুলো হয়েছে পূর্ব আলোচনা অনুযায়ী এ সেগুলো প্রত্যাহার করা; দ্রুত কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী দাবিগুলোর বিষয়ে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেছেন, আমাদের এই চার দাবি মন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন, আশ্বাসও দিয়েছেন।
এর আগের সূত্রে পাওয়া খবর ছিল, হেফাজতের সহিংসতার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ঘিরে হেফাজত ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার বিষয়ে আলোচনা হওয়া কথা বৈঠকে।
অসুস্থতার কারণে আজ বৈঠকে হাজির থাকতে পারেননি হেফাজত আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। তবে আজ নতুন করে অংশ নিয়েছেন হাটহাজারী মাদ্রাসার মজলিশে এদারির সদস্য মাওলানা ইয়াহিয়া ও মুফতি জসীমউদ্দিন।
বৈঠকে নুরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজী, মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি জসিমউদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়া হেফাজতের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। বৈঠক চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ এপ্রিল রাতে নুরুল ইসলাম জিহাদীসহ হেফাজত নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।