রাজধানীর মিরপুরের নির্মাণাধীন একটি আবাসিক প্রকল্প থেকে প্রায়ই কান্নার শব্দ ভেসে আসত। আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা এই ‘গায়েবি কান্নার’ উৎস খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বিষয়টি ‘বাংলাদেশ পুলিশ ফেসবুক পেজ’–এ খুদে বার্তা পাঠিয়ে জানান একজন।
এরপর মিরপুর মডেল থানা–পুলিশ এর উৎস খুঁজতে গিয়ে জানতে পারে, এক বাবা তাঁর দুই ছেলেকে নিয়মিত মারধর করেন। সেই কান্নার শব্দই শুনতে পান আশপাশের লোকজন। পুলিশ অভিযুক্ত বাবা মো. জাহাঙ্গীরকে গতকাল শুক্রবার আটক করে। তিনি মিরপুর ২ নম্বরের বি ব্লকের ২ নম্বর সড়কে ওই আবাসিক প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে আছেন। তাঁর বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। ৭ বছর ও ৯ বছর বয়সী দুই ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বাস করেন। সন্তানদের মারধর করবেন না, এমন মুচলেকা দেওয়ার পর পুলিশ গতকালই তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক মো. সোহেল রানার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবাসিক প্রকল্পের ভিতরে নির্মাণাধীন ও বর্তমানে পরিত্যক্ত একটি ভবনে পরিবার নিয়ে থাকেন জাহাঙ্গীর। নির্মাণাধীন প্রকল্পের পরিবেশটা বেশ ভুতুড়ে। এখানেই প্রতিদিন তিনি তাঁর সন্তানদের হাত-পা বেঁধে মারধর করতেন। ছেলেদের কান্না শোনা যেত দূর থেকে।
ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, জাহাঙ্গীরকে আটক করার পর তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানও থানায় এসেছিল। স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর বা বাবার বিরুদ্ধে দুই সন্তান কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। সন্তানদের না পেটানোর জন্য বাবাকে বোঝানো হয়েছে। তিনিও আর কখনো মারধর করবেন না, এমন কথা দিয়েছেন।