ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের চকহলদি গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী জমিলা বেগম(৬৫)নামেরে এক বৃদ্ধা মহিলার রাস্তার পাশে তৈরি একমাত্র টিনের ঘরটি গত(৭ ই)মে বৃষ্টি ও ঝড়ের তান্ডবে রাস্তার গাছ তার থাকার ঘরটির উপর পড়লে ঘরটি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।প্রায় ২১ দিন ধরে তার ঘরের উপরেই পড়ে আছে গাছ গুলি, তিনি এই ভেঙ্গে যাওয়া ঘরেই কোন রকমে রাত্রী যাপন করছেন ।
জানা যায় যে,সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে চকহলদি গ্রামের বাসিন্দা মৃত গনি মিয়ার স্ত্রী বৃদ্ধা জমিলা বেগম । দশ বছর আগে তিনি তার স্বামীকে হারিয়েছেন তার কোন ছেলে মেয়ে না থাকায় অবশেষে মাথা গুজার ঠাই হয় রাস্তার পাশে ।পেটের দায়ে ও জীবন বাঁচার তাগিদে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা করে খাবার জোটান তিনি । বয়সের ভারে বিভিন্ন রোগে অক্রান্ত জমিলা বেগম ওষুধ কেনার টাকাও তার কাছে নেই ।অর্থের অভাবে পারছেনা ঘরের উপর পড়ে থাকা গাছগুলো সরাতে । এলাকার জন প্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও পায়নি কোন সহযোগিতা তাই ভেঙ্গে যাওয়া ঘরেই কোন রকমে রাত্রী যাপন করছেন তিনি ।
প্রতিবেশীরা জানান, জমিলা বেগমের স্বামী মৃত্যুর দশ বছরেও বিধবা ভাতা বা বয়স্ক ভাতার র্কাড জোটেনি তার কপালে । তাই তিনি বুড়ো বয়সে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা করে খাবার জোটান ।মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তারা জমিলাকে তাড়িয়ে দেয় ,বলে এখনো তোমার বয়স হয়নি ।৬৫ বছর বয়সী জমিলার ছেলে মেয়েও নেই যে তাকে একটু দেখাশুনা করবে ।বেশির ভাগ সময়েই খেয়ে না খেয়ে তার দিন কাঁটে ।তার পরেও পায়নি বিধবা ভাতা ।
এদিকে সাংবাদিকদের দেখে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন বাক প্রতিবন্ধী জমিলা বেগম ।শুধু ইশারায় যেন কিছু বলার চেষ্টা করেন । স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর আলী বলেন, বাক প্রতিবন্ধী জমিলা নামের মহিলাটিকে আমি চিনি, প্রায় দশ বছর আগে তার স্বামী মারা যান, কয়েক দিন আগে বৃষ্টি ও ঝড়ের তান্ডবে রাস্তার গাছ তার থাকার ঘরটির উপর পড়লে ঘরটি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে গড়েয়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল ইসলাম শাহ (রেদো)বলেন আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা, আমাকে কেউ অবগত করেনি, তবে দেখি খোঁজ খবর নিয়ে দেখব ।
বিষয়টি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা র্নিবাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন কে অবগত করা হয়েছে, আশা করি তিনি সুদৃষ্টি দিবেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করে বাক প্রতিবন্ধী মহিলাটির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন ।