নাশকতা ও গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি ও শাহবাগ থানার দুই মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে পাঁচ বছর ধরে কারাবন্দী এই বিএনপি নেতার এখন মুক্তি পেতে বাধা নেই বলে তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন।
আসলাম চৌধুরীর জামিন চেয়ে করা পৃথক দুই আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ তাঁর জামিন আদেশ দেন।
আদালতে আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস ও মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
আইনজীবী হাসিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অন্য মামলায় ২০১৬ সাল থেকে আসলাম চৌধুরী কারাগারে। নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালে করা ওই দুই মামলায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। জামিন প্রশ্নে রুল দিয়ে হাইকোর্ট নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত তাঁকে জামিন দিয়েছেন। এই দুই মামলায় জামিন পাওয়ায় আসলাম চৌধুরীর কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর একই বছরের ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। মামলায় আসলামের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ’ আনা হয়। এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়েছেন।