করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ১৪ মাস। অ্যাসাইনমেন্ট, টিভি, অনলাইনসহ বিভিন্ন উপায়ে শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তেমন সুফল আসেনি। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বেকার হয়েছেন অনেক শিক্ষক কর্মচারি।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর মতে, একটি দেশের শিক্ষা বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম ২৫ শতাংশ হওয়া জরুরি। যা হবে জিডিপির আকারের ৬ শতাংশ। অথচ দেশের বাজেটে তা কখনই মানা হয় না। গেল চার অর্থবছরে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের হিসাবে টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বাড়লেও শতাংশ হিসেবে কমছে।
তথ্য মতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শিক্ষায় বরাদ্দ ছিলো ৪৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১৩.২৪ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বরাদ্দ বাড়লেও মোট বাজেটের আনুপাতিক হারে তা কমে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশে। ২০১৯-২০ অর্থবছরেও টাকার অঙ্কে বাড়লেও আনুপাতিক হারে আরও কমে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশে। আর চলতি অর্থবছরে করোনা মহামারীর মধ্যেও শিক্ষায় আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ।
সোমবার (৩১ মে) ডিবিসি টিভির এক প্রতিবেদনে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, করোনা মহামারীর নেতিবাচক প্রভাবগুলো বিবেচনায় নিয়ে একটি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় যথাযথ বাজেট বরাদ্ধ প্রয়োজন। আবার সেই প্রণোদনা প্যাকেজ যেন যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয় তার জন্য মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, যে সব শিক্ষার্থীরা ঝরে গিয়েছে তাদের আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে হলেও ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।