ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের স্থগিত সব পরীক্ষা আগামী ১৫ জুন থেকে সশরীরে নেওয়া হবে। নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবাসিক হল না খোলার শর্তে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউট পরীক্ষাগুলো নেবে। একই শর্তে অন্যান্য সেমিস্টার ফাইনাল, বার্ষিক কোর্স ফাইনাল ও ব্যবহারিক পরীক্ষা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী ১ জুলাই থেকে অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে হার্ডওয়্যার ও ওয়েটল্যাব ভিত্তিক ব্যবহারিক পরীক্ষা ছাড়া বাকি সব পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (০১ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সর্বোচ্চ ফোরাম শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা সংযুক্ত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসব পরীক্ষা নেওয়া হবে। একই শর্তে অন্যান্য সেমিস্টার ফাইনাল, বার্ষিক কোর্স ফাইনাল ও ব্যবহারিক পরীক্ষা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী ১ জুলাই থেকে অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে হার্ডওয়্যার ও ওয়েটল্যাব ভিত্তিক ব্যবহারিক পরীক্ষা ব্যতিত সকল পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া হবে।
সভায় সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ‘লস রিকভারি প্ল্যান’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় সেমিস্টার পদ্ধতির ক্ষেত্রে পরীক্ষাসহ সেমিস্টারকাল ৬ মাসের পরিবর্তে ৪ মাস এবং বার্ষিক কোর্স পদ্ধতির ক্ষেত্রে ১২ মাসের পরিবর্তে ৮ মাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরীক্ষার ফলাফল দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশসহ পরীক্ষার শিফট সংখ্যা বৃদ্ধি করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।