1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন

সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রীসহ দুদকের জালে আট এমপি

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীসহ আট এমপির সম্পদের অনুসন্ধান করছে। সম্পদের বৈধ উৎস দেখাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

দুদক সূত্র জানায়, ওমর ফারুক চৌধুরী নিজ নামে এবং স্ত্রী-সন্তানদের নামে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন, যার তথ্য ইতোমধ্যেই দুদকের হাতে এসেছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে সরকারের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে নাম উঠে আসে পাঁচ সংসদ সদস্যের। দুদকের গোয়েন্দা দলের কাছেও এই পাঁচ সংসদ সদস্যের বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য আসে।

এরপর জাতীয় সংসদের হুইপ চট্টগ্রামের শামসুল হক চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নজরুল ইসলাম বাবু, ভোলা- ৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের সম্পদ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

এর পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুলের অবৈধ সম্পদ খোঁজা শুরু করে দুদক। একই অভিযোগে পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সম্প্রতি সংস্থাটি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক।

দুদক এ আট সংসদ সদস্যের বিপুল সম্পদের হিসাব পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউয়ের কাছ থেকে। এ সংসদ সদস্যরা শুধু নিজ নামেই না, স্ত্রী-সন্তানদের নামেও গড়েছেন বিপুল সম্পদ।

বর্তমানে দুদক এ আট সংসদ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্যসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য যাচাই বাছাই করছে।

এছাড়া সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার স্ত্রী মাহবুবা হোসেন লতার বিভিন্ন সম্পদের তথ্য তলব করে গত বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) রাজউক, সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরসহ দশ প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুদক। বাকি সাত সংসদ সদস্যের স্ত্রী-পুত্রের সম্পদের তথ্য চেয়েও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিগগিরই চিঠি পাঠানো বলে জানিয়েছে কমিশন সূত্র।

এ বিষয়ে দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, সংসদ সদস্যদের ইনকাম ট্যাক্স ফাইল সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুলের মানি লন্ডারিং মামলার অনুসন্ধান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এছাড়া প্রতিটি কেসেরই অগ্রগতি রয়েছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি