গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ সোলায়মান আজিজ এর অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে স্থানীয় জনগণের আয়োজনে ২রা জুন/২১ সকাল ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে ৮নং ভাতগ্রাম ইউনয়িনের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ খান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আব্দুর গোফ্ফার সরকার, লিয়াকত আলী খান সেলিম, আব্দুল খালেক, আসাদুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ।
মানববন্ধনে বলা হয় অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৬ইং সালে মাধ্যমিক স্তর ও ১৯৯৫ইং সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের রূপান্তির হয়। প্রথম থেকে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়াসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। বিগত ২০০২ইং সালে অধ্যক্ষ সোলায়মান আজিজ এর যোগদান করার পর থেকে অত্র প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার মানসহ যাবতীয় অবকাঠামো উন্নয়ন নানাবিদ জটিলতার সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের মধ্য দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের লক্ষ লক্ষ টাকা ও প্রতিষ্ঠানের ৪০/৪২টি দোকানের জামানত ও ভাড়ার লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। উল্লেখিত নিয়োগ বাণিজ্য ও দোকান ঘরের জামানতের টাকা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো এবং কোন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড করেননি। ২০১৫ইং সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠারে কোন রকম নিয়মিত কমিটি গঠন হয় নাই। অধ্যক্ষ তার মনগড়া পকেট কমিটি গঠন করে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালিয়ে আসিতেছে। একই ব্যক্তিকে বারবার অভিভাবক সদস্য করে সদস্য প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম দুর্নীতির জাল বিস্তার করে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বর্তমানে এডহক কমিটি নেই। অধ্যক্ষ ওই সব লোক নিয়ে প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠটি সংকোচিত করে আবারও দোকান ঘর উত্তোলন করার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় জনগণের বাঁধা দিলে বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের দাবী উক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ফিষ্ট ডিপোজিটের টাকা থেকে ব্যাংকের যে সুদ আসে সেগুলো তিনি গোপনে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয়ের ফরম ফিলাপসহ অন্যান্য সংক্রান্ত কাজের বিষয়ে তিনি কোন রশিদ প্রদান করেন না। অর্থ গ্রহণ করেন।