ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
২০১২ সালে চারদলীয় জোটের হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পীরবাড়ী এলাকায় পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাংচুরের মামলায় জেলা জামায়েতের বর্তমান ও সাবেক আমীরসহ ২১ আসামিকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
আজ রবিবার দুপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ এই রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় ২১ আসামির মধ্যে ৭ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান ও সাবেক আমির’সহ বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, গত ২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর চারদলীয় জোটের হরতাল চলাকালে সকাল সোয়া ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পীরবাড়ী এলাকায় টহল পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাংচুর চালায় একদল দুর্বৃত্ত। ঘটনার পর জেলা জামায়েতের তৎকালীন আমীর কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম এবং বর্তমান আমীর সৈয়দ গোলাম সারোয়ারসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে ওই দিন রাতে পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলাটি করেন।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ব্রাহ্মণবাড়িয়াপরে তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ৩১ আগস্ট মামলায় এজাহার নামীয় আসামি’সহ মোট ২১ জনকে আসামি করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের প্রত্যেককে দুই বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও এক মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় গ্রেফতারকৃত ৭ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন মো. শহীদুল ইসলাম, সানাউল্লাহ, কাজী আবু জাহের, এমানুর রহমান, মহসিন মিয়া, ফরহাদ উদ্দিন, আজিজুল হাকিম তানভীর। মামলার প্রধান আসামি জেলা জামায়েতের সাবেক আমীর কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম এবং বর্তমান আমীর সৈয়দ গোলাম সারোয়ার’সহ বাকি ১৪ জন পলাতক।
মামলায় রায়ে বাদীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে দেশে অগ্নিসংযোগ, জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হবে।
অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান জানান, আমরা এই রায়ে ক্ষুব্ধ। ন্যায় বিচারের স্বার্থে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।