মৌসুমি বায়ু তথা বর্ষা দেশের উপকূল অতিক্রম করায় এবং লঘুচাপ আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ায় আগামী কযেকদিনে বৃষ্টিপাত থামছে না। যার ধারাবাহিকতায় ৯ থেকে ১১ জুন তুমুল বর্ষণের আভাস রয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণত এক নাগাড়ে বেশ কিছুদিন বর্ষা হলে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে যায়। তখন ভারী থেকে অতিভারী বর্ষা হলে ভূমিধস হয়। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। এটা যদি অব্যাহত থাকে এবং অতিভারী বর্ষণ হয়, তবে পাহাড়ে ভূমিধসের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
অতীতে চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে আমাদের দেশে ভূমিধসের ঘটনা যতটা না প্রাকৃতিক তার চেয়ে বেশি মানবসৃষ্ট। কেননা, অবাধে পাহাড় কাটা হয়। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেটে কয়েকদিন ধরেই বর্ষণ হচ্ছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, টেকনাফে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানান, বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের পূর্বাংশ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরো অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে।
মঙ্গলবার নাগাদ সারাদেশের অবশিষ্টাংশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করবে। বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি বাড়তে পারে।
এ অবস্থায় সোমবার (৭ জুন) ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের পূর্বাঞ্চলে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, তাড়াশ ও দিনাজপুর অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে
মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র সামান্য বাড়তে পাবে। সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এসময় ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিমি, যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে ঘণ্টায় ২৫-৩৫ কিমিতে উঠে যেতে পারে।
রোববার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সীতাকুণ্ডে, ১০০ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ১৬ মিলিমিটার ও ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।